শিলিগুড়ি:কয়েকদিন আগেই সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ঘর ছাড়া হয়ে পরে সিকিমের পাশাপাশি কালিম্পংয়ের বহু পরিবার। তিস্তা সংলগ্ন একাধিক এলাকা ভেসে যায় বন্যার জলে। বহু আপনজন তলিয়ে যায় সেই জলে। কিছু সংখ্যক মানুষ প্রাণ হাতে নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে কোনো মতে প্রাণ বাঁচান। সিকিম, কালিম্পঙ, রংপো এবং একাধিক এলাকা প্লাবিত হয় তিস্তার জলে।
পুজোর মুখে বড়সড় ক্ষতি হয় সেই সমস্ত এলাকায়। পরে আসতে আসতে এলাকাগুলো থেকে নামে তিস্তার জল, শান্ত হয় পরিবেশ। ফের বেঁচে থাকার লড়াই শুরু হয় সেই সমস্ত স্থানীয় পরিবারগুলির। সমস্ত কিছু শান্ত হলেও ব্যস্ততা দেখা যায় শেষ সম্বলটুকু উদ্ধার করতে৷ বন্যার জলে সেই সমস্ত বাড়ি তলিয়ে যায় বা যেই সমস্ত বাড়ি জলের নিচে চলে আসে সেখানে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। বেশিভাগই দেখা যায় কোনো সামগ্রী বেঁচে নেই। সর্বসান্ত হন একাধিক পরিবার। এরপরই প্রশাসন এবং একাধিক মহল থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো হয়।
ঠিক তেমনি মঙ্গলবার EHTTOA(এথোয়া)তরফে কালিম্পঙে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের জন্য রান্নার গ্যাস, ওভেন, বাসন, কিছু খাবার সামগ্রী সহ একাধিক জিনিস তুলে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি পুরনিগমের হাতে। পুরনিগমের তরফে জানানো হয় সেই সমস্ত জিনিসের সঙ্গে আরও কিছু জিনিস যুক্ত করে খুব শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এথোয়ার সাধারণ সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ বলেন, আমরা প্রথম দফায় তিস্তার জলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবারের জন্য ত্রান সামগ্রী পাঠালাম। পরবর্তীতে আরও পরিবারের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করব যাতে পুজোর সময় তাঁদের মুখে হাসি ফোরাতে পারি।