শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির চম্পাসারিতে এটিএম লুটের রহস্যভেদ করল প্রধাননগর থানার অ্যান্টি-ক্রাইম ইউনিট। গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানার কুখ্যাত ‘মেওয়াত গ্যাং’-এর তিন সদস্যকে। ধৃতরা হল— মোহাম্মদ ইসরাইল, জাভেদ খান ও মোহাম্মদ খুশিদ। এরা প্রত্যেকেই হরিয়ানার নুহু জেলার বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চম্পাসারির এক জনবহুল এলাকায়, প্রধাননগর থানার মাত্র ৫০০ মিটার দূরে এক এটিএম কাউন্টারে চাঞ্চল্যকর লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। রাত ১টা ৪৪ মিনিট থেকে ১টা ৫৭ মিনিট— মাত্র ১৩ মিনিটে গ্যাস কাটার দিয়ে দুটি এটিএম মেশিন কেটে ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তারা। উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই কাউন্টারে ছিল না কোনও নিরাপত্তারক্ষী বা সক্রিয় অ্যালার্ম ব্যবস্থা। এমনকি প্রত্যক্ষদর্শীরা বারবার ১০০ নম্বরে ফোন করেও পুলিশকে খবর দিতে ব্যর্থ হন।
ঘটনার তদন্তে নামে প্রধাননগর থানার অ্যান্টি-ক্রাইম শাখা। দীর্ঘ তদন্তের পর হরিয়ানায় অভিযান চালিয়ে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দু’জনকে ধরা হয় সেবক লাগোয়া জঙ্গল থেকে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩ লক্ষ ১৯৬ টাকা। জানা গিয়েছে, ধৃত গ্যাং সদস্যরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এটিএম ও দোকান লুটের সঙ্গে যুক্ত।
পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্প্রতি শিলিগুড়ির এক সোনার দোকানে হওয়া দিবালোকে ডাকাতির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না। এই লুটের পেছনে আরও কেউ জড়িত কি না, তা নিয়েও চলছে তদন্ত।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানান, “তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, এই গ্যাংয়ের আরও সদস্য জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরের এটিএম কাউন্টারগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। জনবহুল এলাকায় নিরাপত্তারক্ষী ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব বড় ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেই মত সাধারণ মানুষের।
পুলিশ আশ্বাস, ভবিষ্যতে আরও কড়া নজরদারি চালানো হবে সাথে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।