শীতলকুচি: অপহরণের শিকার হয়ে বাংলাদেশের হাতে বন্দি থাকা কোচবিহার জেলার কৃষক উকিল বর্মন অবশেষে নিরাপদে দেশে ফিরলেন। বুধবার রাতে সীমান্তের অমৃত ক্যাম্পে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বিএসএফ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাথাভাঙ্গার এসডিপিও-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। শারীরিক পরীক্ষার জন্য উকিল বর্মনকে শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
এরপর রাতেই বিএসএফ ও শীতলকুচি থানার পুলিশ যৌথভাবে উকিল বর্মনকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তবে কীভাবে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে প্রশাসনের মধ্যে।
উকিল বর্মন বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় রাজনৈতিক সরবতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে তাঁর বাড়িতে পৌঁছায় তৃণমূল কংগ্রেস। পরে বিজেপির বিধায়ক শংকর ঘোষ ও মালতি রাভার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সেখানে পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগানে তাঁদের বিক্ষোভ দেখান।
তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা প্রশান্ত সূত্রধর বলেন, “উকিল বর্মনের পরিবারের পাশে আমরা শুরু থেকেই ছিলাম। বিজেপি কেবল ফুটেজের জন্য এসেছে বলেই মানুষ ক্ষোভ দেখিয়েছে।”
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ জানান, “এই ঘটনার যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিএসএফ। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। তবে আমাদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।”
উদ্ধার হওয়া উকিল বর্মনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা শীতলকুচি।