মালদহের আদিনা ফরেস্টের সৌন্দর্যায়নে হরিণকে দত্তক নিলেন ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার সেন্টার

মালদহের আদিনা ফরেস্টের সৌন্দর্যায়নে হরিণকে দত্তক নিলেন ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার সেন্টার

মূলত, জেলায় পর্যটক কেন্দ্র আদিনা ডিয়ার ফরেস্ট। আর সেই ফরেস্টে এবার পর্যটকদের আকর্ষন বাড়াতে হরিণের সংখ্যা বাড়াতে ব্যবস্থা গ্রহন করলো এন টি পিসি।এই প্রথম মালদহের আদিনা ডিয়ার ফরেস্টের ৯৩ টি হরিণের দত্তক নিল দেশের সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এনটিপিসি (ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার সেন্টার)। ইতিমধ্যেই, আদিনা ডিয়ার ফরেস্টের হরিণগুলির বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ।

এদিন একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এনটিপিসির কমার্সিয়াল জেনারেল ম্যানেজার সতীশ এস. বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আদিনা ডিয়ার ফরেস্টের ৯৩ টি হরিণ দত্তক নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এদিকে মালদহের বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,আদিনা ডিয়ার ফরেস্টে ৯৩টি হরিণ দত্তক নিয়েছে এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা করে হরিণের লালন – পালনের জন্য বরাদ্দ করেছে। এছাড়াও আদিনা ডিয়ার ফরেস্টের হরিণগুলির চিকিৎসা পরিষেবা, প্রজনন মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ। বনদপ্তরের সহযোগিতায় দত্তক নেওয়া ৯৩ টি হরিণের যেকোনো ধরনের মেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা দিবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।

এবিষয়ে এনটিপিসির কমার্শিয়াল জেনারেল ম্যানেজার সতীশ এস. জানিয়েছেন, মালদহের আদিনা ডিয়ার ফরেস্টের ৯৩টি হরিণ দত্তক নেওয়া হয়েছে।আপাতত এই দত্তকের সময়সীমা এক বছর রাখা হয়েছে।পরবর্তীতে ভাবনা চিন্তা করে আদিনা ডিয়ার পার্কের হরিণের দত্তকের সময়সীমাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মালদহের বিভাগীয় বনাধিকারিক জিজু জেসফার জানিয়েছেন,এক বছরের জন্য এনটিপিসি থেকে ৯৩ টি হরিণ দত্তক নেওয়া হয়েছে।বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিবে।তবে বেশিরভাগ কাজটাই বনদপ্তর করে থাকে।এছাড়াও চিড়িয়াখানা অথবা সরকারি ফরেস্টে থাকা বাঘ সিংহ দত্তক নেওয়া সম্ভব তার জন্য প্রতিবছর এক লক্ষ টাকা করে খরচ পড়বে।

পাশাপাশি আদিনা ডিয়ার ফরেস্টের নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে এই ডিয়ার ফরেস্টের ঝিলেও বোর্ডিং-এর উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি মালদহ আদিনা ডিয়ার ফরেস্টে হরিণের প্রজনন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।এতে করে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানো সম্ভব হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here