সময়মতো বৃষ্টি হয়নি, অতিরিক্ত গরম,ঝড়ে আমের দারুন ক্ষতি হয়েছে মালদা, কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদ, সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এবছর জলপাইগুড়ির বাজারে সেভাবে আমের যোগান নেই। জামাইষষ্ঠীর বাজার আমের দাম আকাশছোঁয়া এমনটাই মনে করছেন বিক্রেতারা। এরই মধ্যে ষষ্ঠীর দুদিন আগে জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি তে আমের বাজারে ক্রেতাদের লক্ষ্য করা গেল।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়িতে হিম সাগর আম আসলেও এর চাহিদা তেমনভাবে নেই। দাম আকাশ ছোঁয়া। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।তবে অন্যান্য আম বাজারে আসলেও দাম অনেক টাই বেশি রয়েছে। সাধারণ আম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। তাও আবার স্বাদও কম এবং দামও বেশি গত বছরের তুলনায়। ফলে এবার আমের বাজার জামাইষষ্ঠীতে আগুন থাকবে। তা এখন ই বলছেন বিক্রেতারা। তবে কিছু কিছু আম বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য আমকে হিমসাগর আম বলে বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে এবার আর কম দামে যে আম পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে তা বলাই বাহুল্য।
এরই পাশাপাশি, জামাই ষষ্ঠীর আগে ময়নাগুড়ির বাজারে আমের চাহিদা তুঙ্গে।
হাতে গোনা আর মাত্র দুদিন। তারপরেই বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হবে জামাই ষষ্ঠী। আর সেই উপলক্ষ্যে জামাইকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কোনো কিছুই খামতি রাখতে চাইছেন না শাশুড়িরা। ইতিমধ্যেই বাজার করতে শুরু করে দিয়েছেন শাশুড়িরা। বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস সহ রকমারি মিষ্টি, দই এর ব্যবস্থা তো থাকছেই। জামাইষষ্ঠীতে আমের সম্ভার থাকবে না তা কি করে হয়। তাই ময়নাগুড়ি ফল বাজারে ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। তবে বাজারে আসলেও ফলের দাম দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। স্বাভাবিকের তুলনায় এবার ফলের চাহিদা অনেকটা কম। আর সেই কারণেই বাজার দর একটু অস্বাভাবিক বলেই জানিয়েছেন ফল বিক্রেতারা। ফলে এবার জামাই ষষ্ঠীর বাজার তেমন ভাবে জমবে না বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের।
জামাই ষষ্ঠীর জন্য ইতিমধ্যেই আমের রকমারি ধরন বাজারে এনেছেন ব্যবসায়ীরা। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, চোষা আম সহ কয়েক ধরনের আম রয়েছে বাজারে। এছাড়াও, বিভিন্ন ফল যেমন লিচু, আপেল, কমলা, পেয়ারা, মৌসুমী, তরমুজ রয়েছে দোকানে। স্বাভাবিকের তুলনায় ফলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত ক্রেতারা। শনিবার ফল কিনতে আসা এক ক্রেতা কৃষ্ণা দাস বলেন, ” এবার ফলের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বলাই বাহুল্য জামাইষষ্ঠীর আগে অগ্নিমূল্য আমের বাজার।