ক্রমশ বাড়ছে করোনা। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। করোনা ঠেকাতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে কর্ণাটক সরকার। সোমবার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যে কোনও রকম ব়্যালি বা মিছিল করা চলবে না। কোনও বিক্ষোভ প্রতিবাদ বা অবস্থান বিক্ষোভ করে জমায়েত করা চলবে না।রাজ্য সরকার আরও জানিয়েছে পার্টি করার জন্য জমায়েত করা বা বড়সড় কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। আগামী ১৫দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। যদি কোনও ব্যক্তি মাস্ক না পরে বাইরে বেরোন, তবে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও মানতে হবে অন্যান্য করোনা বিধি।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া তথ্যে কর্ণাটক সরকার জানাচ্ছে কোনও লকডাউন করা হবে না। কিন্তু কড়াকড়ি আনা হচ্ছে করোনা বিধিতে। কোনও পার্টি, কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না। জমায়েত করা যাবে না। কোনও অবস্থান বিক্ষোভ করে জমায়েত করা চলবে না। যদিও রাজ্য সরকার জানিয়েছে সব স্কুল ও কলেজ খোলা থাকবে। আপাতত সেগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। হোলিতে যাতে নতুন করে সংক্রমণ না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।এদিকে, দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ তাণ্ডব চালাচ্ছে মহারাষ্ট্রে। হু-হু করে মারাঠাভূমে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে ৪০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সেরাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। করোনার সেকেন্ড ওয়েভের প্রভাব দেশজুড়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই রাজ্যেই।
সংক্রমণে লাগাম টানতে দ্বিতীয়বার মহারাষ্ট্রে লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এব্যাপারে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যে লকডাউন জারি হলেও অর্থনীতিতে ন্যূনতম প্রভাব পড়তে পারে এমন একটি পরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা রাজ্য সরকারের।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ বিপজ্জনক হয়ে ওঠার অন্যতম প্রধান কারণ হল নাগরিকদের একাংশের হেলদোলহীন আচরণ। এখনও বহু রাজ্যে কোভিড প্রোটোকল শিকেয় তুলে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাচ্ছেন বাসিন্দারা। বাড়ির বাইরে বেরোলে এখনও অনেকেই মাস্ক পরছেন না। করোনাবিধি ভেঙে প্রকাশ্যে চলছে জমায়েত।