রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নজিরবিহীন আক্রমণ নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর।
এদিন তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ক্ষমতায় ফিরলে বাংলা মিনি পাকিস্তান হয়ে যাবে। সেই ভবিষ্যত থেকে রক্ষা করতে হবে পশ্চিমবঙ্গকে। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী ভোটারদের কাছে আবেদন জানান, কোনও ভাবেই যেন তৃণমূল ক্ষমতা দখল না করতে পারে।এদিন শুভেন্দু বলেন তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা। বিশেষ সম্প্রদায় তোষণ করে ভোটবাক্সে ফল পেতে চাইছেন তিনি। রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাত ধরে মমতা ক্ষমতায় আসতে চাইছেন বলে এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কোনও ভাবেই ক্ষমতায় ফিরতে না পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে ভোটারদের।
তিনি উল্লেখ করেন মমতা আগে ইদ মুবারক বলেন, তারপর বলেন হোলি মুবারক। সংবাদসংস্থা এএনআইকে এমনই জানান শুভেন্দু। উল্লেখ্য, ২৮ তারিখের সভা থেকেও একই ভাষায় মমতাকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। খড়্গপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে “এই বেগমকে হারাচ্ছি। এই বেগমকে না হারালে গলায় কন্ঠী, তুলসীর মালা পড়তে পারবেন না। বেগমকে হারাতেই হবে” বলে হুঙ্কার দেন তৃণমূলের একদা মন্ত্রী ও বর্তমান বিজেপি-র নন্দীগ্রামের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার প্রথমে সাগরে তারপরে খড়্গপুরে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। দুই সভা থেকেই লাগামছাড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন,“২০১১ সালে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ছিল ৫ লক্ষ ২০ হাজার। ১০ বছরে সেই পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা হয়েছে ৩০ লক্ষ। আমরা বামফ্রন্টের সমালোচনা করি। বাম আমলে রাজ্যের ঋণের পরিমান ছিল ২ লক্ষ কোটি টাকা। মাননীয়া সেই ঋণের পরিমাণ ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে গেছেন। উনি কী চাকরি দিয়েছেন? প্রাণিমিত্র,দেড় হাজার টাকা আর সিভিক ভলিন্টিয়ার পায় সাড়ে সাত থেকে ৮ হাজার টাকা। এই তাকে না চলে সংসার আর ছেলেগুলো না পায় ভালো মেয়ে, যার জন্য বিয়ে হয় না। এই তো মাননীয়ার উন্নয়ন। শিল্প নেই।