কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করল ভারত বায়োটেক। রিপোর্ট প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে যে উপসর্গযুক্ত কোভিডের ক্ষেত্রে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। ‘ডেল্টা’ প্রজাতিকে রুখতেও এই টিকা যথেষ্ট সফল বলে দাবি করা হয়েছে। রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে, উপসর্গহীন কোভিডের ক্ষেত্রে এই টিকা কার্যকর ৬৩.৬ শতাংশ। ‘ডেল্টা’র বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ কার্যকর এই টিকা, এমনই জানিয়েছে ভারত বায়োটেক।
রিপোর্টে ভারত বায়োটেক দাবি করেছে যে এই টিকার ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক কম। টিকা ব্যবহারের পর সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার ১২ শতাংশ। ০.৫ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংস্থার দাবি, সর্বোপরি যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে তা অন্যান্য কোভিড টিকার তুলনায় খুবই কম। উল্লেখ্য, বিশ্বের ১৬টি দেশে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেক। তার মধ্যে ভারত ছাড়াও রয়েছে ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইরান, ফিলিপিন্সের মতো দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের তালিকায় কোভ্যাক্সিনকে অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি ভারত বায়োটেকের।
দেশে যে দু’টি টিকা সব চেয়ে বেশি প্রয়োগ করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড এবং হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাক্সিন। তবে কোভ্যাক্সিনের জোগান অনেকটাই কম। অন্য দিকে, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হলেও কোভ্যাক্সিনের দাম কোভিশিল্ড এবং রুশ টিকা স্পুটনিক ভি’র থেকেও বেশি।