একেতেই পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি হলে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে সরাসরি তার প্রভাব পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে এই দুই পেট্রোপণ্যের উপরই সেস চাপাল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও তার প্রভাব খুচরো বিক্রির উপর পড়বে না বলেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এমন পরিস্থিতিতে পেট্রোপণ্যের এই লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করেছেন তাদেরই সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
উল্লেখ্য,বিভিন্ন সময় দলের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যসভার এই সাংসদ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এদিন সকালে একটি লেখা টুইট করেন স্বামী। তাতে লেখা, রামের ভারতে পেট্রলের মূল্য ৯৩ টাকা। সীতার নেপালে ৫৩ টাকা এবং রাবণের লঙ্কায় মাত্র ৫১ টাকায় প্রতি লিটার পেট্রল পাওয়া যায়। তার এই টুইটকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোপণ্যের দাম। এরই মাঝে সংসদে বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মনে করা হয়েছিল, এই বাজেটে পেট্রোপণ্যের উপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে আমজনতাকে একটু স্বস্তি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু হল উলটো। আমদানি শুল্ক কমল ঠিকই। বদলে চাপানো হল কৃষি্ সেস। প্রতি লিটার ডিজেলে দিতে হবে ৪ টাকা ও পেট্রলের প্রতি লিটারে আড়াই টাকা করে কৃষি সেস গুনতে হবে। ফলে খুচরো বাজারে পেট্রপণ্যের দামে খুব বেশি হেরফের হচ্ছে না। বাজেট পেশের পরদিনই বিজেপি সাংসদের এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।পেট্রল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রাখল তেল কোম্পানিগুলি। এই নিয়ে টানা ৬ দিন পেট্রল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রইল। এদিকে এদিনও কলকাতায় পেট্রল-ডিজেলের দাম লিটার পিছু ৮০ টাকার বেশি রইল। কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৮৭ টাকা ৬৯ পয়সা আর ডিজেলের দাম ৮০ টাকা ০৮ পয়সা।