পেট্রোল-ডিজেল, রান্নার গ্যাসের পর এবার দাম বাড়বে ওষুধের। এপ্রিল থেকেই বাড়তে পারে দাম। শুক্রবার জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকার ওষুধ প্রস্তুতকারীদের পাইকারি মূল্য সূচকে 0.5 শতাংশ হারে বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। পেইনকিলার, অ্যান্টিনোফ্ল্যাটিভ, কার্ডিয়াক এবং অ্যান্টিবায়োটিক সহ প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম এপ্রিল থেকেই ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ওষুধ প্রস্তুতকারীদের দাবি, ওষুধ শিল্পে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে সরকার ওষুধ প্রস্তুতকারকদের বার্ষিক পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে দাম পরিবর্তন করার অনুমতি দিয়েছে। শুক্রবার ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি জানায়, পাইকারি মূল্য সূচকে বার্ষিক এই পরিবর্তনের হার ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে জানানো হয়ছে। সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ২০ শতাংশ দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। উল্লেখ্য, ডব্লিউপিআই অনুযায়ী ওষুধ নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে প্রতি বছর ওষুধের নির্ধারিত দাম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
মূলত করোনা মহামারির জন্যেই ওষুধের আমদানিতে প্রভাব পড়েছে। কার্ডিও ভাস্কুলার, ডায়াবেটিস, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফেকটিভ এবং ভিটামিন উৎপাদন করার জন্য বেশিরভাগ উপাদানগুলিই চিন থেকে আমদানি করা হয়। চিনের উপর নির্ভরতা প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ। গত বছরের শুরুতে চিনে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। সেই সমস্যার কারণে ভারতীয় ওষুধ আমদানিকারকদের খরচ বেড়ে গিয়েছে। এরপর, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সরবরাহ শুরু হলেও চিন আগের থেকে ১০-২০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলবশত এ দেশেও দাম ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।