গতকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় করোনা টীকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে দেশে৷ মঙ্গলবার করোনা প্রতিষেধক নিলেন সস্ত্রীক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন৷ এদিন সকালে স্ত্রীকে নিয়ে হর্ষ বর্ধন দিল্লি হার্ট অ্যান্ড লাং ইনস্টিটিউটে গিয়ে করোনা টিকা নেন৷ যেহেতু এটি বেসরকারি হাসপাতাল, সেহেতু মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী ২৫০ টাকা করে দিয়েই করোনার প্রতিষেধক নিয়েছেন৷ বেসরকারি হাসপাতালে করোনা টিকার প্রতি ডোজের জন্য ২৫০ টাকা করেই লাগছে৷
সোমবার পর্যন্ত মোট ১,৪৭,২৮,৫৬৯ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। সোমবার থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। টিকাকরণের এই পর্বে ষাটোর্ধ্ব ও ৪৫ বছর বয়সীদের উপরে যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রে দ্বিতীয় পর্বের এই টিকাকরণের শুরুর দিনেই কেন্দ্রের কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করেছেন ২৫ লক্ষ নাগরিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করেছেন ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার সাধারণ নাগরিক। বাকি ৫০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীও দ্বিতীয় পর্বের টিকা নিতে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যেই সোমবার কেন্দ্রের কো-উইন অ্যাপে টিকা নিতে নাম নথিভুক্ত করা ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার নাগরিকের অ্যাপয়েনমেন্ট ফিক্সড করা হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ অভিযানের প্রথম পর্ব শুরু হয়। প্রথম পর্বে দেশের ৩ কোটি করোনাযোদ্ধাকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। দেশের চিকিৎসক,নার্স-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সব সদস্যদের টিকাকরণের পর্ব শেষের মুখে। দেশে করোনার দুটি টিকার প্রয়োগ চলছে।
তবে দেশেরই আরও ৪-৫টি সংস্থা যুদ্ধাকালীন তৎপরতায় করোনার টিকা তৈরি করছে। কেন্দ্রের তরফে জানা গিয়েছে,ওই সংস্থাগুলির টিকা চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষার স্তরে রয়েছে। চূড়ান্ত পর্বের ওই পরীক্ষায় সাফল্য এলেই কমপক্ষে আরও ৪-৫টি সংস্থার দেশীয় টিকা প্রয়োগেও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ছাড়পত্র মিলবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সোমবারই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন৷ এর পাশাপাশি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম দিনই টিকা নিয়েছেন ৷