কেন্দ্রের বড় ধাক্কা। কৃষি আইন নিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে। এরপরই কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই রায়ই বহাল থাকবে।পাশাপাশি আইনগুলি খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত,সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হওয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলি জোটবদ্ধ করে শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। এদিন ছিল এই মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি। শুরুতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আইন তিনটি নিয়ে আদালত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। একটানা আন্দোলনের জেরে মানুষের জীবনযাত্রা এবং সম্পত্তির উপরও প্রভাব পড়েছে। এর সঙ্গে জীবন ও মৃত্যু জড়িয়ে। যতটা ভাল ভাবে সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রায় দু’মাস ধরে দিল্লি। সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। দাবি না মেটা পর্যন্ত তা চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলোর তরফে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এদিনের রায় বলেছে, দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ না করে রামলীলা ময়দানে কৃষকরা যাতে আন্দোলন চালাতে পারেন তার জন্য নয়াদিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি চাওয়া হোক।
গোটা প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রের ভূমিকায় শীর্ষ আদালত ‘হতাশ’ বলে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপাতত কৃষি আইন খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন ছাড়া গত্যন্তর নেই”। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কমিটির কাছে কেন্দ্র এবং কৃষকরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। কমিটিতে থাকছেন চার কৃষি বিশেষজ্ঞ। থাকবেন অশোক গুলাটি, প্রমোদ জোশী, হরসিমরত মান এবং অনিল ধনবন্ত।
উল্লেখ্য এ দিনের শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারি না। তিনি এই মামলার পক্ষ নন। এটি রাজনীতি নয়। রাজনীতি ও বিচার বিভাগের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এবং সকলকে সহযোগিতা করতে হবে”।