বাংলায় কলকাতা লিগের পর জনপ্রিয় লিগ হলো শিলিগুড়ি লিগ। আর এই লিগে রেফারি নিয়ে প্রতিবারই বিভিন্ন ক্লাবের অভিযোগ থাকে। সমস্যা তৈরী হয়। আর এবছর শিলিগুড়িতে রেফারিরা দুটি সংস্থায় ভাগ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে নিরপেক্ষ এলাকা থেকে ভালো মানের রেফারি খুঁজতে আগে থেকেই তৎপর ছিল শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ। বহু বছর থেকে ক্যালকাটা রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত শিলিগুড়ি রেফারিজ এন্ড আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনই বরাবর শিলিগুড়ি লিগ পরিচালনা করে। এবারও তাঁদের মাধ্যমেই শিলিগুড়ির বাইরে থেকে রেফারি নিয়ে আসা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদের কথায় এবছর যেই রেফারিরা লিগে প্রথম থেকে ম্যাচ খেলাচ্ছেন তারা সকলেই জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের রেফারি। শিলিগুড়ির বাইরের হলেও সকলেই উত্তরবঙ্গের ছেলে। প্রতিবারের তুলনায় যথেষ্ট ভালো ম্যাচ পরিচালনা হচ্ছে বলে জানান বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তারাও। শিলিগুড়ি রেফারিজ এবং আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রানা দে সরকার বলেন, এবারের লিগে যারা ম্যাচ পরিচালনা করছেন তাঁদের মধ্যে প্রণয় সাহা কিছু দিন আগে ত্রিপুরাতে সন্তোষ ট্রফি খেলিয়ে শিলিগুড়ি এসেছেন। আশরাফুল আলম এবারের আই লিগে রয়েছেন। ইতিমধ্যে শিলং ও কাশ্মীরে আই লিগের দুটি ম্যাচও করেছেন। আমাদের শিলিগুড়ি লিগও পরিচালনা করছেন। সুব্রত ধর তিনিও আসামে সাব জুনিয়ার লিগ করে এসেছেন। মৃনাল সরকারও সন্তোষ ট্রফির কোয়ালিফায়ার রাউন্ড করে লিগ করতে এসেছেন। রাজ্য স্তরের রেফারি সৌভিক দত্ত রয়েছেন শক্ত হাতে ম্যাচ পরিচালনা করছেন। সৌভিকের বয়স মাত্র ২২ বছর। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি একাডেমির সদস্য। প্রসেনজিৎ রায় সহ পবন রায়রা কলকাতা লিগ পরিচালনা করে। এরা সকলেই পার্শ্ববর্তী জেলা জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। এবারের লিগে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে রেফারি নিয়ে আসার কথা উঠতেই পার্শ্ববর্তী জেলায় এত ভালো মানের রেফারি থাকায় তাদেরকে নিয়ে আসা হয়। আর প্রতিটা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ খুব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করছেন তারা। এবারের লীগের রেফারিদের প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন ফুটবলাররাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের এক কর্তা বলেন, ভালো ম্যাচ পরিচালনা হচ্ছে এবছর। টিমগুলি রেফারির বিপক্ষে কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে রেফারি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু রেফারির যেটা মনে হবে ফুটবল নতুন আইনে যেটা রয়েছে সেটাই প্রয়োগ হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। তিনি আরোও বলেন, যেই রেফারিরা পরিচালনা করছেন শিলিগুড়ির বাইরের হলেও সকলেই আমাদের উত্তরবঙ্গের গর্ব। অতএব তারা আমাদের ঘরেরই ছেলে।