দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপির তরফে মহকুমা পরিষদ অভিযান করতেই প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সভাধিপতি অরুণ ঘোষ। শিলিগুড়ি না থাকায় কলকাতা থেকে ফোনেই সাফ জানিয়ে দিলেন,‘লুকোচুরি খেলা নয়, সামনাসামনি বসে তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করার চ্যালেঞ্জ রইল। সাহস থাকলে মিডিয়ার সামনে একসঙ্গে বসব, যা অভিযোগ থাকবে করবেন, আর আমি তার জবাব দেব। আমার অবর্তমানে দপ্তর অভিযান করে কী প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি ও অজয় ওঁরাও? কাকে দাবি জানালেন? আমি তো কলকাতায়। সত্যিকারের উন্নয়ন চাইলে হাওয়া গরম করা নয়, নথি নিয়ে আসুন। জনতার সামনে হেস্তনেস্ত হয়ে যাবে।’
এদিকে মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বিজেপির অজয় ওঁরাও জানান,‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকার দুর্নীতি হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, পঞ্চদশ অর্থকমিশনের টাকা দিল্লি থেকে আসে। কেন্দ্রের টাকা। সেই টাকা ঠিকমতো খরচ হলো কিনা তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাই প্রতিবছর অডিট করে। ক্লিনচিট পেলেই পরের কিস্তিতে অর্থ বরাদ্দ হয়। এক্ষেত্রে সভাধিপতি জানান, প্রত্যেক বছর অডিটের পর ক্লিনচিট দিয়েছে বলেই আমরা ওই তহবিলের অর্থ পাচ্ছি। তারপরেও যদি বিজেপি দুর্নীতি বলে গলা ফাটায় তবে একটাই বিষয় প্রমাণ হয়, সেটি হল কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থাও দুর্নীতিগ্রস্থ এবং দেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
বিরোধী নেতার দ্বিতীয় অভিযোগ আরও মজার। তিনি জানান,‘আমি আদিবাসী জনজাতি থেকে নির্বাচিত হয়েছি বলে আমাকে কাজ দেওয়া হয় না। এখানে আদিবাসী, রাজবংশীদের বঞ্চিত করা হয়।’ অজয় এমন মন্তব্য করায় সভাধিপতি জানান, ‘কোনও অভিযোগ করার আগেও হোমওয়ার্কের প্রয়োজন। অজয় ওঁরাও ৩ বছর মহকুমা পরিষদে থাকার পরেও মাথায় রাখতে পারেননি যে মহকুমা পরিষদ বোর্ডে আমাদের ৩ জন আদিবাসী কর্মাধ্যক্ষ আছেন। রাজবংশী দুই কর্মাধ্যক্ষ আছেন। তারপরে কি এমন অভিযোগ খাটে? আসলে এরা জাতপাত ধর্মের নামে ভাগাভাগির রাজনীতি করতে চায়। সেই চক্রান্ত করতে গিয়ে বোর্ডে কারা আছেন, সেটাই ভুলে গেছেন।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূলের যে জেলা কোর কমিটি তৈরি হয়েছে সেখানে মহকুমা পরিষদের বোর্ড থেকেই দুই আদিবাসী নেত্রীকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আদিবাসী বঞ্চনা যে ধোপে টিঁকছে না, সেটা আর বলতে কোনও দ্বিধা নেই।