শিলিগুড়ি প্রাইম টাইমসকে বদনাম করার চেষ্টা, যদিও দর্শকদের ভালোবাসাই আমাদের প্রেরণা!

শিলিগুড়ি: নিরপেক্ষ ও নির্ভীকভাবে সংবাদ পরিবেশনের অঙ্গীকার নিয়ে বহু বছর ধরে উত্তরবঙ্গে সংবাদ জগতে নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছে শিলিগুড়ি প্রাইম টাইমস। শহরের গলি থেকে আন্তর্জাতিক খবর—সবই তুলে ধরেছে এই সংবাদমাধ্যম, যাতে সত্যকে মানুষের সামনে পৌঁছে দেওয়া যায় নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে। কিন্তু এই সৎ প্রচেষ্টার মাঝেও সম্প্রতি দেখা দিয়েছে এক অপ্রত্যাশিত অপপ্রচার অভিযানের ছায়া।

শুক্রবার শিলিগুড়ির একটি ফেসবুক পেজে (৪ বার নাম পরিবর্তনের পর বর্তমানে Siliguri L!*E) শিলিগুড়ি প্রাইম টাইমস-কে লক্ষ্য করে কটূক্তি, ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানো হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই সোশ্যাল মিডিয়াতেই তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শহরজুড়ে ও অনলাইনে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। তাদের এহেন পোস্টের দ্বারা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কমেন্টের মাধ্যমে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে সরব হন নেটিজনেরা। কেউ কেউ সরাসরি মন্তব্য করে পাল্টা তাদেরকেই কাঠগড়ায় তুলছেন। আবার কোথাও কোথাও হাসি ঠাট্টার রোল বয়ে যেতে দেখা যায়।

শিলিগুড়ি প্রাইম টাইমসের দীর্ঘদিনের দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীরা জানান, গত কয়েক বছরে এই পোর্টাল রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে জরুরি জনস্বার্থমূলক সংবাদ সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছে। নির্ভীক সাংবাদিকতা ও সত্যের প্রতি দায়বদ্ধতা তাদের কাছে এই প্ল্যাটফর্মকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, “সাবধান! ফেসবুক পেজের মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা করে যারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এই মাধ্যমটি ব্যবহার করছেন তারা সাবধান। যারা এই ধরনের অপপ্রচারের পিছনে রয়েছেন, তারা হয়তো ভুলে গেছেন—সত্যকে দমিয়ে রাখা যায় না। আমরা চোখে চোখ রেখে, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে জবাব দেবো ও প্রমাণ করব—শিলিগুড়ি প্রাইম টাইমস শুধু একটি নাম নয়, এটি উত্তরবঙ্গবাসীর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক।”

শিলিগুড়ি প্রাইম টাইমস সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, “অসংখ্য দর্শকের ভালোবাসা ও সংবাদের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারই আমাদের শক্তি। আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি সত্যকে তুলে ধরতে—কোনো পক্ষপাত ছাড়াই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো এই ধরনের অপপ্রচারের জবাব আমরা তর্ক-বিতর্কে নয়, বরং আমাদের সাংবাদিকতার মাধ্যমেই দেবো। আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আকারে, আরও নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

এই ঘটনার পর অনেকেই মনে করছেন, বর্তমান সময়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা আগের চেয়ে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তবুও, শিলিগুড়ি প্রাইম টাইমসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি যে দৃঢ়তা ও নীতিতে অটল থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তা সংবাদপেশার জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here