বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলে সাধারণ মানুষ সহ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তি ধারাবাহিক ভাবে দলে যোগদান করেছেন এরই মধ্যে আজ দলীয় কোন্দলের জন্য ইস্তফা দিলেন বিজেপি-র আইটি সেলের কনভেনর গৌতম চাকী।
এবিষয়ে গৌতমবাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি বহুকাল যাবত বিজেপি-র সাথে যুক্ত রয়েছেন, তিনি প্রথমে ৩৪নং ওয়ার্ডের শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ তথা প্রাক্তন ওয়ার্ড প্রেসিডেনট পরবর্তীতে বিজেপির ৬নং ওয়ার্ডের যুব সভাপতি এবং বর্তমানে তিনি ছিলেন বিজেপি-র আইটি সেলের কনভেনর। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তিনি তার পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ও ইস্তফার জন্যে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মাননীয় শ্রী দিলীপ ঘোষ সহ শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রবীন আগারওয়াল ও শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা ৬নং মন্ডল সভাপতি সুজয় ঘোষ মহাশয়কে চিঠি পাঠান। তার এই ইস্তফার কারণ জানতে চাওয়া হলে বলেন, দলে অভ্যন্তরীন ভাঙনের সৃষ্টি হতে চলেছে। তিনি আরও বলেন আইটি সেলের কনভেনর হওয়া সত্বেও বেশ কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন কার্যকলাপ আমাকে জানানো হচ্ছে না, আমি আইটি সেলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৩৪নং ওয়ার্ডের শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ ছিলাম,অথচ গতকাল আমার ওয়ার্ডে রথিন দাকে নিয়ে “চায় পে চর্চা” হলো, অথচ তাকে জানানোই হলো না, এবিষয়ে সে রথিন দার ফেসবুক পোস্ট দেখে জানতে পারে, এর থেকে বড় অপমান আর কি হতে পারে। তিনি আরও বলেন সুজয় দা এক জন অত্যন্ত দক্ষ লিডার, কিন্তু আমি এখনো বুঝে উঠতে পারছিনা, কেন যোগ্য ও পুরানো কর্মীরা উপেক্ষিত আর সদ্য লোক সভার পর আসা মানুষেরা বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে!
সবশেষে তাঁকে ইস্তফার পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগদান সম্পর্কিত মনোভাবনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এই মুহূর্তে তিনি অন্য কোন দলে যোগদানের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নন, তবে এরকম যদি চলতে থাকে তাহলে আগামিদিনে কিছু একটা সিদ্ধান্ত তো গ্রহণ করতেই হবে! তিনি আরও বলেন আমি দল টাকে ভালোবাসতাম আর তাই কারো প্রতি আমার কোনও অভিযোগ নেই তবে এরকম চলতে থাকলে দলেরই ক্ষতি বলে জানান তিনি।









































