অর্ণব গোস্বামীকে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার পর “এই জয় দেশের মানুষের জয়” জেল থেকে বেরিয়ে এমনই বললেন অর্ণব গোস্বামী।
২০১৮ সালে এক ইন্টিরিয়র ডিজাইনারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া অর্ণব গোস্বামীর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। আজ বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘বম্বে হাইকোর্ট রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামী সহ তিন অভিযুক্তকে জামিন না দিয়ে ভুল করেছে। তাঁদের ৫০ হাজার টাকার বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কমিশনারকে অবিলম্বে এই নির্দেশ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অর্ণব গোস্বামীকে জামিন দেওয়া হল। আবেদনকারীদের তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হচ্ছে। জেল সুপারের কাছে ব্যক্তিগত বন্ড জমা দেওয়া হোক।’
২০১৮ সালে ৫৩ বছরের ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অনভয় নায়েক ও তাঁর মা কুমুদ নায়েকের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রিপাবলিক টিভি থেকে প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই স্থপতি ও তাঁর মা। গত বুধবার সকালে অর্ণবকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন অর্ণব। তাঁর অভিযোগ, ১০ পুলিশকর্মী তাঁর বাড়িতে ঢুকে ধাক্কা দেয়। তাঁকে কার্যত গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে আনা হয় বলেও দাবি করেন অর্ণব।
এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘মহারাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। জরুরি অবস্থা সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও অর্ণবের গ্রেফতারির নিন্দায় সরব হন। অমিত শাহ ট্যুইটে বলেন, ‘মহারাষ্ট্র সরকার ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছে।’ পাল্টা শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের দাবি, ‘আইন আইনের পথে চলছে।’ নাড্ডা এই গ্রেফতারির নিন্দা করে ট্যুইটে বলেছেন, ‘এই গ্রেফতারি গণতান্ত্রিক আদর্শ এবং সাংবাদিকতার ওপর বড় ধাক্কা।’ পাল্টা মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বক্তব্য, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মহারাষ্ট্র পুলিশ আইন মেনে কাজ করছে।’









































