কেন্দ্র-রাজ্য ফের সংঘাত। আগামী 20 মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য ও জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে করোনা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে কিছুই জানানো হয়নি। তাতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র ও রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক বছর বিস্তর টানাপোড়েন চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন। সেই পরম্পরা অব্যাহত রইল তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠিত হওয়ার পরেও। জানা গিয়েছে, আগামী 20 মে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি করোনা সম্পর্কে রাজ্য ও জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন।
কলকাতা, দুই 24 পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুর মিলিয়ে 10 জেলার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা। ওই বৈঠকে রাজ্যের আধিকারিকরাও থাকবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরকে কিছুই জানানো হয়নি। তাতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘রাজ্য ও জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করতেই পারেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তা জানানো উচিত। সরাসরি জেলা আধিকারিকদের চিঠি না পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাতে পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানে না। এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুখ্যমন্ত্রী নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন রাজ্যের আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকবেন কিনা।’











































