সামনেই নির্বাচন আর তার আগে বেকারত্ব ইস্যুর উপর জোর মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন বাজেট পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ১০ বছরে ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার ৭.৪ কোটি গ্রামের মানুষকে কাজ দিয়েছে৷ চলতি বছরে কাজ দেওয়া হয়েছে ১.১ কোটি গ্রামের মানুষকে৷ এর ফলে দেশের মধ্যে এক নম্বরে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ৷
এদিন বাজেট পেশের সময় নিজের রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরতে দাবি করেন, গত ১০ বছরে ১ কোটি ১২.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে৷ সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি স্তর এবং স্বনিযুক্তি কর্মসংস্থানকে ধরে ১.৫ কোটি নতুন কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে৷ এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা হচ্ছে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা৷ এছাড়াও আগামী তিন বছরে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে ও পুলিশ প্রশাসনের শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ শেষ করা হবে৷ এদিকে আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ বাড়াতে বালুরঘাট, মালদা, কোচবিহার বিমানবন্দর তৈরি ও উড়ান চলাচলে আগামী অর্থবর্ষে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ করা হয়েছে৷
এরপাশাপাশি শিল্পায়নের বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণাও করেন মমতা৷ এই প্রকল্পে তাজপুর বন্দর, অশোকনগরে গ্যাস উত্তোলন, দেউচা-পাচামি থেকে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামী অর্থবর্ষে থেকে প্রতি বছর ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দেওযা হবে৷ এই প্রকল্পের নাম ‘তরুণের স্বপ্ন৷’ এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ করা হয়েছে৷এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ঘোষণা করেন, আগামী অর্থবর্ষ থেকে পার্শ্বশিক্ষকরা ৩ শতাংশ হারে বর্ধিত পারিশ্রমিক পাবেন৷ অবসরের পর ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে৷ এর জন্য ১০০ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত মানুষকে পেনশন ও ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত বিধবাদের পেনশন৷ এর জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রস্তাব করা হয়৷