স্বামী-স্ত্রী প্রতিবন্ধী; নিষ্ঠুর লকডাউনে ভিক্ষা নেই, শুধাই অশ্রুঝরে

লকডাউন কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ স্বপন সরকার। ধুপগুড়ি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়ায় নদীর ধারে বাস করেন দৃষ্টিহীন স্বপন সরকার ও তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী জয়ন্তী সরকার। বাজারের অলিতে গলিতে অনেকেই হয়তো দেখেছেন বাঁকা হাত পেতে ১,২ টাকা চাইতে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি তে তাদের প্রাণ বাঁচানো দায় হয়ে উঠেছে। চলছে বেঁচে থাকার কঠিন সংগ্রাম। দীর্ঘদিন থেকেই চোখে দেখতে পান না স্বপন সরকার, প্রথমে ঝালমুড়ি বিক্রি করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। পরবর্তিতে পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামেন স্বপন ও তার প্যারালাইসিস স্ত্রী। ভিক্ষাবৃত্তি করেই দিন কাটছিল তাদের ।

কিন্তু কর্মনাশা লকডাউনে সর্বনাশ তাদের, জুটছে না ভিক্ষাও। মঙ্গলবার তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় উঠোনে পড়ে রয়েছে কাঁঠালের বিচি, পোকাখাওয়া একটি আনারস, পচে যাওয়া কয়েকটি আম; হয়তো কেউ সাহায্য করেছিলেন।

এদিকে তাদের মেয়ের বয়স ৮ বছর, একটি ছেলে থাকলেও তারও দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় তার রেশন কার্ড ‘আর কে এস ওয়াই ওয়ান’ হলেও এই কার্ডে আটা ও ছোলা পাননা তিনি। আটা পাওয়ার আশায় দীর্ঘদিন পৌরসভার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই কথা বলতে বলতে জয়ন্তি দেবী কেঁদেও ফেললেন। কে এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়াবেন সেই আশায় দিন গুনছে এই দম্পতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here