কথায় আছে love is blind, ভালোবাসার জন্যে দৃষ্টিশক্তির প্রয়োজন হয় না। মনের মেলবন্ধন দুটি ভিন্ন প্রান্তের মানুষকে সকল বাধাকে ছিন্ন করে একত্রিত করবার জন্যে যথেষ্ট। এ ঘটনা আর ও একবার প্রমাণ করলো শিলিগুড়ির জ্যোৎস্না।
প্রসঙ্গত, সোশালমিডিয়ার মাধ্যমে ২৪ বছর বয়সী ঝাড়খণ্ডের এক যুবকের সাথে পরিচয় ঘটে শিলিগুড়ি বিধাননগরের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী জ্যোৎস্না। সেই পরিচয়ই ধীরে ধীরে পরিনত হয় ভালোবাসায়। তবে তাদের দুজনের দৃষ্টিশক্তিহীনতা কোনো দিনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি তাদের সম্পর্কে। কিন্তু তাদের শুভ পরিণয়ের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জ্যোৎস্নার অভিভাবকহীনতা।
এই ঘটনার পরে খবর পেয়ে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন লায়ন্স ক্লাব অফ সেবন্তীকার প্রত্যেক সদস্য এবং সদস্যারা। এই দুই অন্ধ যুগলের বিয়ের দায়িত্ব নেন তাঁরা। বিয়ের গয়না থেকে শুরু করে যাবতীয় আয়োজন তারাই করে। সত্যিই লায়ন্স ক্লাব অফ সেবন্তীকার এই উদ্যোগ কুর্নিশযোগ্য। আমাদের তরফ থেকেও জ্যোৎস্নার পরবর্তী জীবনের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।