কালিম্পঙে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য মানুষকেই ফের দায়ি করলেন রাজ্যপাল

কালিম্পং: দিল্লি-দার্জিলিং সফর সেরে অবশেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ফিরছেন কলকাতা। তাহলে কী আজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক? জল্পনা তুঙ্গে। সিকিমের বিপর্যয়য়ে সিকিমের পাশাপাশি বিপর্যস্ত কালিম্পং জেলাও। দিল্লি সফরের মাঝেই বিপর্যয়ের কথা শুনে দার্জিলিং ছুটে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভিআনন্দ বোস। পরে ফের তিনি দিল্লি ফিরে যান।

এদিকে ১০০ দিনের বকেয়া ও আবাস যোজনার বকেয়ার দাবিতে কলকাতা রাজভবনের সামনে ধরণা মঞ্চ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। মুলত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ জানানোরমপাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিতদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ৫০ লক্ষ আবেদনপত্র রাজ্যপালের কাছে জমা দিতে চায় তৃণমূল। কিন্তু ঠিক সেই সময়ই রাজ্যপালের দিল্লি ও দার্জিলিং সফর। তৃণমূলের কটাক্ষ তৃণমূলকে ভয় পেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। তারই মাঝে শনিবার দার্জিলিং রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার দাবি করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রবিবার তিস্তার গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তা বাজার এলাকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্যপাল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। স্থানীয়রা রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান।

পাশাপাশি এই সমস্যার থেকে রেহাই পেতে কী কী করণিয় তাও রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরেন। রাজ্যপালও সকলের কথা মন দিয়ে শুনে আশ্বস্ত করেন। এরপর এদিন ফের তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য মানুষকেই দায়ি করেন। তিনি বলেন, “এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। প্রকৃতিক বিপর্যয়ে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য মানুষই দায়ি। এখন সময় এসেছে এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করার। সকলকে এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।” এদিন তিস্তা বাজার পরিদর্শন করে রাজ্যপাল সোজা চলে আসেন শিলিগুড়ি সার্কিট হাউজে। এখান থেকে বাগডোগরা হয়ে তার কলকাতা ফিরে যাবার কথা। এদিকে রাজ্যপালের কলকাতা ফেরার খবরে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কী আজ রাতেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলের শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here