বাড়ির প্রবীণ সদস্যরা প্রায়ই বলে থাকেন, ‘জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে’। যার অর্থ হল, মানুষের জীবনের এই তিন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উপর মানুষের নিজেদের কোনও হাত থাকে না। যখন হওয়ার, তখন হবেই। এসব ঈশ্বরই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
তবে সব তত্ত্বকথা গুলিয়ে দিয়েছে এআই। এর মাধ্যমে যে কোনও কাজ করে ফেলা যায় চোখের নিমেষে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজে, সবেতে এআই-এর রমরমা। অত্যাধুনিক এআই অ্যাপ এখন সকলের হাতে হাতে ঘুরছে। বিশেষজ্ঞরাও এআই-কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন নতুন নতুন আবিষ্কার করছেন। তবে এবার কোনও মানুষ ঠিক কতদিন বাঁচবেন, সেটাও বলে দিতে পারবে এআই।
এআই-এর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণাতেই নতুন বিস্ময়ের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা তৈরি করে ফেলেছেন ‘মরণ ক্যালকুলেটর’। তার সাহায্যেই জানা যাবে কোনও ব্যক্তি কতদিন বাঁচবেন। জেনে নেওয়া যাক কী এই ‘মরণ ক্যালকুলেটর’?
‘মরণ ক্যালকুলেটর’ বা ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’ কী?
বিজ্ঞানীরা এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন মানুষের মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করার জন্য। অর্থাৎ এর সাহায্যে সহজেই জানা যাবে, কে কবে মারা যাবেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, তাঁদের তৈরি ‘মরণ ক্যালকুলেটর’-এর মাধ্যমে বেঁচে থাকাকালীনই কোনও মানুষ জেনে যেতে পারবেন, যে কবে কখন তাঁর মৃত্যু হবে।
কারা এই ‘মরণ ক্যালকুলেটর’ বানিয়েছেন?
ডেনমার্কের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরেই এই যন্ত্র নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। তাঁরাই তৈরি করেছেন ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’।
এই যন্ত্র কীভাবে কাজ করবে?
বিজ্ঞানীদের মতে, চ্যাটজিপিটি-তে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ‘মরণ ক্যালকুলেটর’-এও। তবে সেক্ষেত্রে নামটা অন্য। লাইফ২ভেক নামে একটি অ্যালগরিদমে কাজ করতে পারে এই যন্ত্র।
এই যন্ত্রের সাহায্যে কী কী জানা যাবে?
এই ‘মরণ ক্যালকুলেটর’ ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তির উপার্জন, বাসস্থান, কাজের ধরন, শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানা যাবে। আর সেই সব তথ্য প্রথমে যন্ত্রটি ব্যক্তিটির থেকেই নেবে। তারপরে এই তথ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুর সম্ভাব্য দিন নির্ধারণ করে দেবে।