শিলিগুড়ি: উচ্ছেদের আতঙ্কে প্রাণ গেল এক গৃহস্থের। বাঘাযতীন কলোনির পাশ দিয়ে বয়ে চলা মহানন্দা নদী থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মৃতের নাম সুরেশ বর্মন (৫৫)। তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে NH-10 ফোরলেন প্রকল্পের জন্য ওই এলাকার মোট ৩১টি বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সময় পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্পোরেশনের তরফে কিছু বাসিন্দার কাছ থেকে কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হলেও, পরে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। বলা হয়, সরকারি কাজ শেষ হলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু ৯ মাস কেটে গেলেও কার্যত কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, গত ১ জুলাই ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি’র পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি এসে মৌখিকভাবে নতুন করে ৮টি বাড়ি খালি করতে বলেন। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সুরেশবাবু। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, সেই দিন সন্ধ্যার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার স্থানীয়রা তাঁর দেহ মহানন্দা নদীতে ভাসতে দেখেন।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, উচ্ছেদের আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন সুরেশবাবু।
তৃণমূলের মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে ও যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, যারা ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির নামে এসে বাড়ি খালি করতে বলেছিল, তারা আদৌ সরকারি কর্মী কিনা, তা তদন্ত সাপেক্ষ।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তবে সুরেশবাবুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন।