শিলিগুড়ি: ১৮৮১ সালের এই দিনে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল ঐতিহাসিক টয়ট্রেন। সেই থেকেই পাহাড় ও সমতলের মধ্যে এক অদ্ভুত সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে এই ছোট্ট রেলগাড়ির মাধ্যমে। আজ সেই ঐতিহাসিক দিনের ১৪৪তম বর্ষপূর্তি।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (DHR)-এর এই খেলনার মত রেলগাড়ি শুধু পর্যটকদের নয়, ইতিহাসপ্রেমী ও রেলপ্রেমীদের কাছেও বিশেষ আকর্ষণের। এই বিশেষ দিনে সুকনা স্টেশনে আয়োজন করা হয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণা ও বিশেষ প্রদর্শনী। স্থানীয় স্কুল পড়ুয়াদের পরিবেশনায় উঠে এসেছে টয়ট্রেনের ঐতিহ্য ও দার্জিলিং পাহাড়ের সৌন্দর্য।
DHR-এর আধিকারিকরা জানান, “শুধু রেলগাড়ি নয়, টয়ট্রেন দার্জিলিংয়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। UNESCO হেরিটেজের তকমা পাওয়া এই ট্রেনের প্রতিটি কামরা একেকটি জীবন্ত ইতিহাস।”
টয়ট্রেন বর্তমানে শিলিগুড়ি জংশন, সুকনা, রঙটং, টিনধারিয়া, ঘুম হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত চলে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ, সুড়ঙ্গ, বাঁশি বাজিয়ে চলা এই ট্রেন আজও যেকোনও পর্যটকের স্বপ্নের সফর।
জন্মদিন উপলক্ষে এদিন বিশেষ ‘হেরিটেজ রান’-এর আয়োজন করা হয়েছে। এই ট্রেনে যাত্রীদের জন্য ছিল ঐতিহ্যবাহী সাজ, ট্রেনের ইতিহাস নিয়ে বর্ণনা এবং বিশেষ স্মারক উপহার।
সুকনার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক— সকলেই আজ মেতে উঠেছেন টয়ট্রেনের জন্মদিনের আনন্দে। শতবর্ষ পেরিয়েও আজও যেন আগের মতো