করোনা বিধি মেনেই এবছর পুজো হবে জলপাইগুড়ির পেটকাটি কালির পুজো

লোকমুখে কথিত মাটি খুড়তে গিয়ে কোদালের ঘা লেগে পেট কেটে গিয়েছিল তার।আর তা থেকেই নাম পেটকাটি।জলপাইগুড়ি জেলার প্রাচীন জনপদ ময়নাগুড়ির পেটকাটি কালী বা পেটকাটি মাও। কালো কষ্টি পাথরের পেটকাটি কালীর মুর্তি দেখলে আজও শিহরন জাগে শরীরে। এবছর করোনা আবহের কারণে সেই পেটকাটি কালী মন্দিরের পুজোয় এবার করোনা বিধি।সামাজিক দূরত্ব মেনেই পুজো দেখতে হবে ভক্তদের জানিয়েছে মন্দির কমিটি।

জানা গিয়েছে,সাড়ে চার ফুট উচু কষ্টি পাথর দিয়ে তৈরি পেটকাটি কালী।এখানে পদ্মের উপর দাড়িয়ে আছেন দশভুজা দেবী।তবে খননের সময় তিনটি হাত ভেঙে গেছে তার।বাদিকের পাঁচটি হাতে রয়েছে হাতি ,ঘন্টা,ছিন্ন নরমুন্ড,নরমুর্তি ও একহাত ভাঙা রয়েছে।মুর্তির পেট কাটা এবং পেটের মধ্যে রয়েছে বিছের ছবি।গলায় ঝুলছে নরমুন্ডের মালা,সারা শরীর সর্পমালায় শোভিত।তবে পেটকাটি আদপে কালী মুর্তি হলেও ধূমাবতি চন্ডী কালী দেবী হিসেবেই কালী পুজার সময় পুজা করা হয় বলে পুরোহিত কৈলাস দেব শর্মা জানান।

এবিষয়ে তিনি বলেন, কয়েক পুরুষ ধরে তারা এই মন্দিরে পুজো করে আসছেন। তবে এই মুর্তির বয়স কত তা অজানা।অত্যন্ত জাগ্রত এই দেবী। প্রায় দিনই দুরদুরান্ত থেকে মানুষ আসেন মন্দিরে।কালি পুজোর দিন অসম থেকেও লোকজন আসেন পুজো দিতে।কৈলাশ বাবুর ঠাকুর্দা হেমচন্দ্র এবং বাবা কেশব দেব শর্মাও এই দেবী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন।নিত্য পুজা না করলেও ভক্তেরা প্রতিদিন মন্দিরে এসে ধুপকাঠি,মোমবাতি জ্বালিয়ে দেন।কালী পুজার সময় প্রথমে এই কষ্টি পাথরের মুর্তিকে পুজা করা হয়।তারপর পাশের মন্দিরে শ্যামা কালী প্রতিমার পুজা করা হয়।প্রচুর পাঁঠা বলি দেওয়া হয় বলে কৈলাস দেব শর্মা জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here