রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে বাংলা জুড়ে ভোট লড়াইয়ের ময়দানে এখন জোরকদমে নেমে পড়েছে রাজ্যের ডান, বাম, অতি ডান, অতি বাম প্রতিটি রাজনৈতিক দল। আর এই গরমা গরম ভোট বাজারে দাঁড়িয়ে ফের মাস্টারস্ট্রোক দিলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি যে একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাতে ধনুকভাঙ্গা পণ করে নিয়েছেন তা স্পষ্ট।এবারে তিনি বাংলার তফশিলি এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মন পেতে নয়া উপায় বাতলে দিলেন।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটে বাংলার মাটিতে তফশিলি এবং আদিবাসী ভোট একটা বড়ো ফ্যাক্টর হতে চলেছে।আর সেটা বুঝেই রাজ্যের ১২৩ টি তফশিলি, আদিবাসী এবং জনজাতি এলাকায় জনসংযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। সেক্ষেত্রে তৃণমূল তফশিলি ও আদিবাসী এলাকায় গণভোজের আসর বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এর আগে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসী পরিবারে গিয়ে বিজেপি নেতারা পাতপেড়ে খাওয়া দাওয়া করে তাদের আপনজন সাজার চেষ্টা করেছেন। যে কারণে এবারে বিজেপির উল্টো পথে হেঁটে ভোটের আগেই গণভোজের আয়োজন করে চমক দিতে চাইছে তৃণমূল।
মূলত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের আদিবাসী ও তফশিলি অধ্যুষিত এলাকায় বড়োসড়ো ধাক্কা খায় তৃণমূল।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৬৮ টি তফশিলি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিজেপি এবং তৃণমূল প্রায় সমানে সমানে লড়াই দিয়েছিল। ৬৮ টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়েছিল ৩৩ টি আসনে এবং তৃণমূল এগিয়ে ছিল ৩৪ টি আসনে। যা বিজেপির থেকে মাত্র ১ টি আসন বেশী ছিল। কংগ্রেস ২ টি আসনে এগিয়ে ছিল। যা তৃণমূলের কাছে জোর ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। ফলে এবারে সেই তফশিলি এবং আদিবাসী ভোটারদের কাছে টানতে এই গণভোজের আয়োজন করতে চলেছে তৃণমূল। স্থানীয় নেতাদের দিয়েই চলবে এই গণভোজের আয়োজন।
এর আগে তফশিলি ও আদিবাসী এলাকায় নেতৃত্বের বদল ঘটিয়ে আদিবাসী ও তফশিলিদের তৃণমূলের ওপর জমে থাকা ক্ষোভ প্রশমনের পথে হেঁটেছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে জেলা সভাধিপতির মতো নেতাকে সরিয়ে দিতে কসুর করেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এবারে রাজ্যের আদিবাসী ও তফিশিলিদের মন জয় করতে গণভোজের আয়োজন। যা নিঃসন্দেহে প্রশান্ত কিশোরের মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে প্রশান্ত কিশোরের এই মাস্টারস্ট্রোক একুশের ভোটে কতোটা কাজ করবে সেটাই প্রমাণ হবে আগামী ২ মে।










































