কোনদিকে মুখ? ভারত নাকি বাংলাদেশ অথবা মায়ানমার জানা নেই আবহবিদদের। তবে কিছু সামুদ্রিক বিশ্লেষণ করে তারা বলছেন ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই ছুটে আসার সম্ভাবনা বেশি ঘূর্ণিঝড় মোচার।তাদের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে কমপক্ষে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে আসছে এই সামুদ্রিক ঘূর্ণি।
চলতি মে মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই মোচা হামলা করবে।
ঘূর্ণিঝড় মোচার আগাম সতর্কতা দিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বার্তা, বঙ্গোপসাগরে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১৫মে পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিখ্যাত সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে ১১ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে আঘাত হানবে পারে। সেক্ষেত্রে এটি খুবই শক্তিশালী ঝড় হিসেবে আঘাত করবে। এর গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
আর ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূল দিয়ে যায় তাহলে সেটি আঘাত করবে ১৩ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে। সেক্ষেত্রেও এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই আঘাত হানবে। তবে গতি কিছুটা কমে ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নিলে এর নাম হবে ‘মোচা’। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তরফেও বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক ঝড়ের আগাম সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।











































