ভীষণ শ্বাসকষ্ট শ্বাসকষ্টের দরুন হাসপাতালে ভর্তি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য! দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বাড়িতে কার্যত বিছানায় শুয়ে শুয়েই কেটে যাচ্ছিল তাঁর দিন। বার্ধক্য এসে বাসা বেঁধেছে শরীরে। রাজ্যপাল তাঁকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যখন গিয়েছিলেন তখন তাঁর সেই শয্যাশয়ী দশার ছবি ট্যুইট করে তুলে ধরেছিলেন সকলেন সামনে। আজ জানা গেল সেই তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাম শিবিরের পাশাপাশি গোটা রাজ্য জুড়েই। খবর গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে বনগাঁ থেকে ফিরে এদিন বিকালে বা সন্ধ্যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে যেতে পারেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই বুদ্ধদেববাবুকে ঘিরে উদ্বেগে পড়ে গিয়েছিল তাঁর পরিবার। বাড়িতে অক্সিজেন দেওয়া হলেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি না হওয়ায় দুপুরে তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেন লেভেল অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর তার জেরেই এই তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই বাকি অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সকাল থেকে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। এরপরই দলের তরফেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধবাবুর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নিচ নেমে গিয়েছে। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ধাক্কা যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সামাল দিতে পারেননি সেটা এর আগে নানা সময়ে বোঝা গিয়েছে। নিজেই ঘর থেকে বার হওয়া অনেকটাই কমিয়ে দেন। খুব জোর নিয়ম করে আলিমুদ্দিন যেতেন। পার্টির সভা বা মিছিলেও সেভাবে তাঁকে খুব একটা দেখা যেত না। এরপর শরীর আরও খারাপ হয়ে পড়ায় কার্যত ঘরবন্দি হয়ে যান সিপিআই(এম)’র এই দাপুটে নেতা।
গতবছরও তাঁকে একবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। যদিও তাঁকে হাসপাতালে বেশিদিন আটকে রাখা যায়নি। সামান্য সুস্থ হতেই নিজে রীতিমতো মুচলেকা দিয়ে হাসপাতালে থেকে বাড়ি চলে এসেছিলেন। কারন কোনওদিনই বেশিদিন হাসপতালে থাকতে পছন্দ করেন না এই প্রবীণ কমরেড।
একসময় তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, বেশিদিন হাসপাতালে থাকলে বাকি রোগীদের সমস্যা হতে পারে। এটা তিনি মেনে নিতে পারেন না। তবে এবারে সবাই চাইছেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুন।