বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার পর রাজ্যে ভোটের পূর্ব নির্ধারিত সূচি অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর ঠিক তারপরই বাকি দফার নির্বাচন এক দফায় করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে ট্যুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ১৭ এপ্রিলের পর রাজ্যের বাকি ৩ দফা ভোট একদিনেই করে নেওয়ার আবেদন করছি। তাহলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মানুষ কিছুটা রেহাই পাবেন।
তবে নির্বাচন ঘোষণার পরই রাজ্যে আট দফায় নির্বাচনের নির্ঘন্ট নিয়েও প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা তো প্রথম থেকেই আট দফা নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছি। সব রাজ্যে এক পর্যায় হচ্ছে, এখানে কেন এতগুলো দফায়? করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এই সময়ে কী এত বেশি দফায় ভোট করানোর দরকার ছিল?” বৃহস্পতিবার ট্যুইটেও সেই একই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১৭ তারিখ রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ওইদিন রাজ্যের ৪৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। এরপর ২২, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন। শেষ তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে হোক, এটাই দাবি ছিল রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের। এ নিয়েই বৃহস্পতিবার দিনভর ভিডিও কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দিল্লির নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেন পর্যবেক্ষকরা। শেষপর্যন্ত কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, তিন দফার ভোট একদিনে করা সম্ভব নয়। কারণ সেই পরিমাণ সেনা কমিশনের হাতে নেই। এই বার্তা পেয়েই সন্ধেবেলা ট্যুইট করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে বাকি তিন দফার নির্বাচন এক সঙ্গে করার আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে এখন আর নির্বাচনের সূচি পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনে কমিশন নির্বাচনের সূচি বদল করতে পারবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল। তারা চাইছেন কমিশন নির্বাচনের সূচি বদল করতে সমস্যা থাকলেও করোনার কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলির পারে তাদের প্রচার ও সভা করা বন্ধ রাখতে, যেটা সিপিএম করেছে।