রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে রাজ্যে তো বটেই সারা দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চিকিৎসকরা বলছেন, এরই মধ্যে ভারতে করোনার নতুন একটি প্রজাতি (ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন) সংক্রমিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ ১০টি রাজ্যে। এই দশটি রাজ্যের তালিকায় আছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলির নাম । যদিও, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পিছনে শুধুমাত্র এই প্রজাতি কাজ করেছ, এমনটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন আসলে দুটি প্রজাতির করোনা ভাইরাসের সংমিশ্রণ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিল্লিতে ব্রিটেনের করোনা প্রজাতি ও এই জাতীয় করোনা প্রজাতি যৌথ ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পঞ্জাবে করোনার নতুন ঢেউয়ে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশের শরীরে পাওয়া গিয়েছে ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেন। কিন্তু মহারাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণে নতুন প্রজাতির অর্থাৎ ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। হিসাব অনুসারে, ৬০ শতাংশ আক্রান্তই দুই ভাইরাসের প্রজাতি থেকে তৈরি তৃতীয় ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
দেশের ১৮টি রাজ্যের ৭০ থেকে ৮০ জেলায় ব্রিটেনের করোনা প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে। সেই তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের প্রজাতি অপেক্ষাকৃত কম দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, কোথাও নতুন প্রজাতির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে, সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে। সেই অনুসারে রাজ্য সরকারগুলি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকার চাইছে এই মারণ ভাইরাসের তাহা থেকে দেশের মানুষকে দ্রুত রক্ষা করতে।
তবে এরই মাঝে রাজ্যে ৮ দফার বিধানসভা নির্বাচন চলছে। নির্বাচন কমিশন করোনার মধ্যে নির্বাচন করার জন্য যে সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল সেসব ব্যবস্থা রাজনৈতিক দলগুলি মঞ্চে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ সভায় ভিড় ও মাস্ক ছাড়া মানুষের ঢল বুঝিয়ে দিচ্ছে রাজ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে করোনা বিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে।