করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের মতো এ রাজ্যও। মূলত, পরিস্থিতি আরও জটিল করছে নির্বাচন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস শেষ তিন দফার ভোট কমিয়ে এক দফায় করার প্রস্তাব দিলেও, বাকি দলগুলি তার বিরোধিতা করেছে শাসক-বিরোধী সব দলই সমানে ভোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে দৈনিক সংক্রমণ পেরিয়ে গিয়েছে সাত হাজার। বাড়ছে মৃত্যুও। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবশেষে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।
রবিবার নবান্নের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যজুড়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারি দপ্তরে কর্মী কমানো, বেসরকারি দপ্তরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার মতো একাধিক নির্দেশ রয়েছে নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে।
*নির্দেশিকা গুলি হল* :
১) বাস-ট্রেন বা গাড়ি, যে কোনও গণপরিবহণেই বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
২) সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা এবং সব বাণিজ্যিক ভবনগুলিকে সপ্তাহে অন্তত এক বার স্যানিটাইজেশন করতেই হবে।
৩) বাজার, সরকারি গণ পরিবহণ এমনকী নিজের গাড়িতেও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজেশন এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। বাজারগুলিকে সার্বিকভাবে গতবছরের মতোই স্যানিটাইজেশন করানো হবে।
৪) দোকান-বাজার, কারখানায় কর্মচারী এবং গ্রাহক মিলিয়ে সার্বিকভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৫) সরকারি দপ্তরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কর্মীদের অফিসে আনতে হবে।
৬) বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ফের কর্মীদের দিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৭) শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, থিয়েটার, রেস্তরাঁয় প্রবেশের পথে স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক, ব্যবহার করতে হবে মাস্ক।
৮) স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলগুলিকে আগের নির্দেশ মতোই সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
৯) কোনওরকম বিধি না মানলে বা অসতর্ক হলে কড়া ব্যবস্থা।
এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই নাইট কারফিউয়ের পথে হেঁটেছে। রাজধানী দিল্লি সপ্তাহান্তে কারফিউ শুরু করেছে। মহারাষ্ট্র সরকার শুরু করেছে করোনা কারফিউ। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে লকডাউন করা নিয়েও ভাবনা চিন্তা চলছে। এরাজ্যে অবশ্য এখনও লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে না। তবে, যে নিষেধাজ্ঞাগুলি জারি করা হয়েছে, তা কঠোরভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার।