শিলিগুড়ি: মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী মানেই শুধু ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া ছাড়াও আরও অনেক রাস্তা খোলা রয়েছে। সেই রাস্তাতেও রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যত। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ এমএসসি এন্ট্রান্সে সর্বভারতীয় স্তরে নবম স্থান অধিকার করে শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যনগরের বাসিন্দা নয়নিকা গুহ বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করা ছাত্র-ছাত্রীদের সেই বার্তা দিলেন। পাড়ার মেয়ের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শিলিগুড়ি বিধায়ক শংকর ঘোষ।
এদিন নয়নিকার বাড়িতে পুষ্পস্তবক নিয়ে যান বিধায়ক শংকর ঘোষ। বিধায়ক নয়নিকাকে সংবর্ধিত করার পাশাপাশি অনুরোধ করেন বর্তামান প্রজন্মকে চিরাচরিত বিষয়ের বাইরে বের করে এই বিষয় নিয়ে উৎসাহিত করতে। নয়নিকা শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুল থেকে পড়াশুনা করে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলতি বছর স্নাতক হওয়ার পর সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এবার তার লক্ষ্য জেনেটিক্স অফ প্ল্যান্ট ব্রিডিং নিয়ে পড়াশুনা করার। যাতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যার খাদ্যের ঘটতি না হয়। তাই তিনি এবার ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউশনে পড়াশুনা করতে যাচ্ছন। তার জন্য তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ এমএসসি এন্ট্রান্সে বসেন। সর্বভারতীয় স্তরের এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করেন নয়নিকা। নয়নিকার সাফল্যে খুশি তার পরিবার। খুশি বিধায়ক শংকর ঘোষও। নয়নিকা বলেন, ” কৃষি একটা বড় ধরনের বিজ্ঞান, একজন ডাক্তার অসফল হলে একজন রোগীর হয়ত মৃত্যু হয়। কিন্তু একজন কৃষি বিজ্ঞানী অসফল হলে পুরো জাতীটা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই কৃষি বিজ্ঞান একটা বড় বিষয় আরো বেশি করে সমাজে ছড়িয়ে পড়া উচিত। বিজ্ঞানের ছাত্রীরা কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পাড়ে। এটা খুব ভালো বিষয় এখনো এখনও সুন্দর সম্ভাবনা আছে।”
বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, এখনো অনেকে চিরাচরিত পথ ছাড়া ভাবতে পারে না। তবে বিষয়ভিত্তিক পড়াশুনা করার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে তথ্য নির্ভর হওয়া দরকার। কি বিষয় ভালো লাগে আর সেই বিষয়ে পড়ার জন্য কি কি রাস্তা রয়েছে তা অনেকেই জানে না। তিনি নয়নিকা অনুরোধ করেন, পুরো বিষয়টি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে যাতে আরও বেশি করে ছাত্র ছাত্রী এই বিষয় নিয়ে উৎসাহিত হয়।