শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেলো প্রায় ৫০ টি দোকান। পুজোর মুখে দোকানে এভাবে আগুন লাগার ঘটনায় সর্বসান্ত হয়ে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আচমকাই একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লাগে। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া দোকানগুলিতে। আগুন দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই প্রায় ৫০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আরও একাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া ও নকশালবাড়ি দমকল কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয়টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে সামনেই পুজো। দোকানগুলিতে প্রচুর মালপত্র আনা হয়েছিল। পুজোয় মুলত বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। সেই আশাতেই মালপত্রে ঠাসা ছিল প্রায় সমস্ত কাপড়ের দোকান, কসমেটিকস সহ জুতো ও অন্যান্য দোকানগুলিতে। নকশালবাড়ি এলাকা মুলত চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা। মাত্রই চা বাগানের শ্রমিকরা বোনাস পেয়ে কেনাকাটা শুরু করেছিলেন। তার মধ্যে এভাবে দোকানে আগুন লেগে সমস্ত সামগ্রী পুড়ে যাওয়ায় কার্যত চোখে জল ব্যবসায়ীদের। পুজোর যে লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা দিন গুনছিলেন সেখানে এত বড় ক্ষতি হওয়ায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। এত বড় ক্ষতি কিভাবে পুরণ হবে তা ভেবে কুল পাচ্ছন না ব্যবসায়ীরা। এদিকে দমকল ঠিকমতো কাজ করে নি বলে অভিযোগ,যার ফলে আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
তবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, বাজারের ভেতরে দমকল প্রবেশ করার মতো যথেষ্ট জায়গা না থাকায় দমকলের ইঞ্জিন ভিতরে প্রবেশ করতে বেগ পায়। ফলে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে। এতে দমকলের কোনো গাফিলতি নেই। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ দোকানের মালপত্র বাঁচাতে বাইরে বের করে আনলেও একশ্রেণির মানুষ তা চুরি করে নিয়ে যায়। এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে কোনো হতাহতের খবর না থাকলেও সব মিলিয়ে কয়েককোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিট বলে মনে করা হলেও সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।