সোমবারের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা না দিলে মঙ্গলবার গুলি চললে তাঁকেই দায় নিতে হবে। এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁর সেই মন্তব্যের পরই তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে যে গুলি চালানোর ক্ষেত্রে প্ররোচনা দিচ্ছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
রাজ্যে অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে শ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে অবিলম্বে গৃহবন্দী করার দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কোনও মন্তব্য করেননি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
‘মঙ্গলবার গুলি চললে দায় নিতে হবে মমতাকে’
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় বুধবার শুভেন্দু বলেন, ‘এটা পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫-রই (সংবিধানের ৩৫৫ ধারা) সামিল। পুলিশমন্ত্রী ফেল। ওর তো লাজ-লজ্জা নেই। সোমবারের মধ্যে পদত্যাগ করুন। নইলে মঙ্গলবার গুলি চললে তার দায় মমতাকে নিতে হবে। গুলি চললে মমতাকে ….।’
‘রাজ্যে অরাজকতা তৈরির চক্রান্ত BJP-র’
আর সেই মন্তব্যের পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেলের রাজ্য সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস বলেন, ‘২৭ অগস্ট (মঙ্গলবার) বিজেপি (রাজ্যের) আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করার যে জঘন্য চক্রান্ত করেছে, তা ফাঁস হয়ে গিয়েছে!’
গৃহবন্দী করা হোক শুভেন্দুকে, দাবি কুণালের
একইসুরে কুণাল বলেন, ‘আরজি কর। তদন্তে সিবিআই। মামলা সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও নবান্ন লক্ষ্য করে অরাজকতা তৈরির ছক। এঁরা বিচার চান? নাকি পদত্যাগের দাবি নিয়ে কু-রাজনীতি? এই ইস্যুতে কবে কোন মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন? এখানে তো ১২ ঘণ্টায় গ্রেফতার। যে বা যাঁরা গুলির কথা বলে প্ররোচনা দিচ্ছেন, তাঁদের গৃহবন্দী করুক পুলিশ।’
মমতার ইস্তফার দাবি উঠেছে
এমনিতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার ইস্তফার দাবি তুলেছে বিভিন্ন মহল। ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ স্লোগানও তোলা হয়েছে। বুধবার যে মিছিল করেন শুভেন্দু, সেখানে ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তারইমধ্যে আগামী ২৭ অগস্ট ‘নবান্ন অভিযান’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। যেটার পিছনে আদতে এবিভিপি আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।