ধৃত বিজেপির যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামী ও তাঁর সঙ্গী যুবনেতা প্রবীর দে দুজনেই মাদক নিতেন। একথা জানতেন পামেলার বাবাও। জানা গিয়েছে, গতবছর লালবাজারে প্রবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে পামেলার বাবা বলেছিলেন যে, প্রবীর তাঁর মেয়েকে মাদক খাওয়ায়। এদিকে, ধৃত দুজনেরই দাবি, তাঁদের গাড়িতে এক যুবক ছিলেন। ওই যুবক পামেলা ও প্রবীরকে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিধানসভা ভোটের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
মাদক তদন্তে নেমে তল্লাশি শুরু করে জানতে পারে পামেলা গোস্বামীর বিউটি পার্লারের কথা। বিউটি পার্লারেই তিনি বেশিরভাগ অফিসের কাজ করতেন। তাই পুলিশ মনে করছেন, এখান থেকে অনেক কিছু পাওয়া যাবে বলে মনে করেছিলেন। তবে ভেতরে ঢুকেই বিপত্তি চাবি নিয়ে।ভেতরের ড্রয়ার ও বাক্সগুলি লক করা। কর্মচারীর দাবি, তাঁর কাছে সেগুলির চাবি নেই। তাই পুলিশ বাকি চাবিগুলির সন্ধান চালাচ্ছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, যদি চাবি না উদ্ধার হয়, তবে ড্রয়ারও পুলিশ ভাঙতে পারে। ওই পার্লারের ভিতর কয়েকটি বেডের সন্ধান মিলেছে। ফলে সেখানে ম্যাসাজ হত কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
বিউটি পার্লারের সব তথ্য পেতে সিসিটিভির হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও পামেলার বাড়ি বা পার্লারে রেভ পার্টিতে কোকেন ব্যবহার হত কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। গতবছর লালবাজারে প্রবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে পামেলার বাবা বলেছিলেন যে, প্রবীর তাঁর মেয়েকে মাদক খাওয়ায়। পুলিশের ধারণা, পামেলা ও প্রবীর দু’জনেই বিভিন্ন ধরনের মাদক নিতেন। তাঁরা কাদের মাদক সরবরাহ করতেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।