‘গিফট ডিপ্লোমেসি’ নয়, ‘মোদি ব্র্যান্ডিং’ পুতিনের হাতে ছ’টি উপহার দিয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আরো স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী!

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরে সবচেয়ে আলোচিত ছিল কেবল আলোচনার টেবিল নয় বরং মোদীর ‘গিফট ম্যানুস্ক্রিপ্ট’। ছ’টি বিশেষ উপহার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেন নতুন করে তুলে ধরলেন তাঁর আন্তর্জাতিক ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং যেখানে ভারতের বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য এবং আঞ্চলিক পরিচয়কে এক সুতোয় গেঁথে নিজের নেতৃত্বের বর্ণনা তৈরি করলেন তিনি।

প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানানোই ছিল প্রথম বার্তা সম্পর্ক শুধু সরকার বনাম সরকার নয়, বরং ‘লিডার টু লিডার’। এরপর উপহারের তালিকা যেন মোদীর ব্যক্তিগত স্টাইল স্টেটমেন্ট সাংস্কৃতিক, কৌশলগত, রাজনৈতিক সব একসঙ্গে।

অসমের চা, কাশ্মীরের জাফরান, মুর্শিদাবাদের রূপোর টি-সেট, মহারাষ্ট্রের রূপোর ঘোড়া, আগ্রার মার্বেল দাবা, এবং গীতার রাশিয়ান অনুবাদ এগুলো শুধু ভারতের পরিচয় নয়, বরং মোদীর রাজনৈতিক কাহিনি নির্মাণের উপাদানও বটে।
প্রতিটি উপহার যেন বলছে ভারতের প্রতিটি অঞ্চল আমার সঙ্গে চলছে, আমি ভারতের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদীর এই উপহার কূটনৈতিক নয়, কৌশলগত। কারণ:

🔹 ভারতকে বৈচিত্র্যময় কিন্তু ঐক্যবদ্ধ সংস্কৃতির দেশ হিসেবে তুলে ধরা
🔹 আঞ্চলিক রাজ্যের পরিচিতিকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়ে ভোটের মনস্তত্ত্বে প্রভাব তৈরি
🔹 আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মোদীকে ‘গ্লোবাল কালচারাল লিডার’ হিসেবে প্রোজেক্ট করা
🔹 পশ্চিমা চাপ থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক রেখে স্বাধীন বৈদেশিক নীতি প্রদর্শন

উপহারের প্রতিটি নির্বাচনের মধ্যে কূটনীতি আছে, নির্বাচন আছে, আঞ্চলিক মনস্তত্ত্ব আছে, আবার ব্যক্তিগত নেতৃত্বের বর্ণনাও আছে। যেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্যানভাসে মোদী নিজের রাজনৈতিক ‘সিগনেচার স্টাইল’ আঁকলেন।

এই সফরের ফলাফল কী হবে তা ভবিষ্যৎ বলবে, কিন্তু নিশ্চিত
মোদি চেয়েছিলেন বিশ্বকে নতুন বার্তা দিতে: ভারতকে মানলে মোদীকে মানতেই হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here