মালদা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানটান উত্তেজনার মাঝে কাশ্মীরে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ডাটিওন গ্রামের এক নাবালক পরিযায়ী শ্রমিক। মাত্র ১৭ বছরের আশফাক হক পরিবারের বড় ছেলে। প্রায় বারো দিন ধরে তাঁর সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই।
আশফাক প্রায় কুড়ি দিন আগে পেটের দায়ে কাশ্মীরে যান ঢালাই মিস্ত্রির কাজ করতে। কাজ শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি ও অস্থিরতা। বারংবার পাকিস্তানের হামলার চেষ্টা, ব্ল্যাকআউট, নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজর—এই সবের মধ্যে থেকেই বাড়িতে শেষবার ফোন করে আশফাক। মাকে জানান, খাবারের অভাব হচ্ছে সাথে সে দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান।
তারপর থেকেই তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ। পরিবারের সদস্যরা নানা জায়গায় খোঁজ করেও কোনো তথ্য পাননি। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাঁর মা, দুই ছোট ভাইবোন ও গ্রামের মানুষজনের। কান্নায় ভেঙে পড়েছে তাঁর মা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন আশফাকের সন্ধানে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “রাজ্যে কর্মসংস্থান না থাকাতেই এমন কিশোরদেরও বাইরে কাজ খুঁজতে যেতে হয়।” তিনি আশফাকের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—কবে ও কী অবস্থায় মেলবে আশফাকের সন্ধান? প্রশাসনের কাছে পরিবারের কাতর আবেদন, যেন দ্রুত তাঁর খোঁজ মেলে এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন বাংলার এই নাবালক পরিযায়ী শ্রমিক।