মাঝ আকাশে দুর্যোগ, উড়ে গেল বিমানের সামনের অংশ – মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচলেন পাঁচ তৃণমূল সাংসদ
দিল্লি থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পথে উড়ানভর্তি ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদ। Indigo-র 6E2142 নম্বর ফ্লাইটটি মাঝ আকাশে প্রবল ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে। এতটাই ভয়ানক ছিল পরিস্থিতি, যে বিমানের সামনের অংশ — অর্থাৎ “নোজ কন” — তীব্র শিলাবৃষ্টির আঘাতে কার্যত উড়ে যায়। বিমানের সামনের দিকের ক্ষতিগ্রস্ত ছবিগুলিতে বড় গর্ত, ভেঙে যাওয়া ও তুবড়ে যাওয়া অংশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
বিমানটিতে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মানুস ভুঁইয়া ও মমতাবালা ঠাকুর। কাশ্মীরে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তাঁরা প্রতিনিধি দল হিসেবে রওনা দিয়েছিলেন। দুর্যোগের মধ্যে বিমান প্রবলভাবে কেঁপে উঠতে থাকে, যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেউ প্রার্থনায় মগ্ন, কেউ চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে চিৎকার করছেন।
সাংসদ সাগরিকা ঘোষ জানান, “মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা কোনও দিন ভুলব না। মনে হচ্ছিল সব শেষ হয়ে গেল। কিন্তু পাইলট অসাধারণ দক্ষতায় আমাদের উদ্ধার করেন। যখন নামলাম, তখন বুঝতে পারি – বিমানের সামনের অংশ কার্যত নেই।”
২২৭ যাত্রীবাহী সেই বিমানে যখন দুর্যোগ চরমে, তখন পাইলট দ্রুত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জরুরি অবতরণ করানো হয় শ্রীনগরে। বিমান নিরাপদে অবতরণের পর Indigo কর্তৃপক্ষ জানায়, “বিমানকর্মীরা নিয়ম মেনেই পরিস্থিতি সামলেছেন। যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তাঁদের দেখভাল করা হচ্ছে। বিমানটিকে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।”
যাত্রীরা বিমানের ভিতরকার ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা আসনবদ্ধ অবস্থায় দুলছেন, কেউ মাথা নিচু করে প্রার্থনা করছেন, কেউ কাউকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। দুর্ঘটনাজনিত এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন সকলে।
তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের অলৌকিকভাবে বেঁচে ফেরা সত্যিই এক চমকপ্রদ ঘটনা। পাইলটের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও সাহসিকতায় এবার এক বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল গোটা বিমান ও যাত্রীরা।