এবার আগামী মাসেই শুরু হতে চলেছে পঞ্চাশোর্ধ্বদের টিকাকরণ। কলকাতায় এসে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন । একইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও অসন্তোষপ্রকাশ করলেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা আশানুরূপ নয়। বিশেষত ১০ বছর শাসনে থাকলে যা থাকা উচিত ছিল, তেমনটা নেই।’ কেন্দ্র বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে বলে হামেশাই অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তার জবাবে হর্ষবর্ধন বলেন,’১১টি মেডিক্যাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজে সুপার স্পেশালিস্ট ব্লক নির্মাণে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।’প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকিসন দেওয়া শুরু হয়েছে জানুয়ারিতে। এবার মার্চে শুরু হচ্ছে টিকাকরণের দ্বিতীয় দফা। এই দফায় ৫০ বছরের বয়সের উপরের ব্যক্তিদের দেওয়া হবে টিকা। তিনি আরও বলেন,’৭টি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকস্তরে রয়েছে। ভারতের কাছ থেকে টিকা নিতে আগ্রহী ২২টি দেশ। ৫০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে পরের মাসে।’
রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘২১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৬০ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে বাংলায়। টিকাকরণের জন্য ৭.৭৩ কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছে। ১০ লক্ষের বেশি টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছিল। কোভিডের মোকাবিলায় ২৭৫.৯৯ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র।’