দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাখের গণ্ডি পেরোতেই নড়েচড়ে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কীভাবে মারণ ভাইরাস মোকাবিলা করা যায় তার পথ খুঁজতে আগামী ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময়ে ভার্চুয়ালি ওই বৈঠক হবে।
সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৮ এপ্রিলের বৈঠকে যাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকতে পারেন তার জন্যই সন্ধে সাড়ে ছয়টায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। কেননা, ওই দিন রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটের প্রচারের সময়সীমা শেষ হচ্ছে বিকাল পাঁচটা নাগাদ। ফলে সন্ধেয় ওই বৈঠক হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
মূলত, গত কয়েকদিন ধরেই দেশে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে উঠেছে। রবিবারই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই বৈঠকে মূলত করোনার বেলাগাম সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণের উপরেই জোর দেওয়া হয়। ঠিক হয়, রাতেও টিকাকরণ চলবে।
কিন্তু সোমবার দেশের করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। প্রথমবারের মতো সংক্রমণ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। ভোটমুখী তামিলনাডু, কেরল ও বাংলাতে সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিলম্বে লকডাউনের পথে না হাঁটলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। যেহেতু ৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ বাদে বাকি চার রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া মিটে যাচ্ছে সেহেতু ওই রাজ্য বাদে দেশজুড়ে লকডাউন করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলে মত তাদের।
যদিও আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশে ফের লকডাউন জারি হলে তার ধাক্কা সামলানো যাবে না। এমনিতেই দেশের অর্থনীতি আইসিইউতে রয়েছে। তাছাড়া লকডাউন জারি হলে চরম বিপদে পড়বেন গরিবরা।