আজ ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগানের বিভিন্ন লাইনে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল জলপাইগুড়ি বনবিভাগের মোরাঘাট রেঞ্জের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত,ডুয়ার্সের জঙ্গলে কাঠ চুরির ঘটনা নতুন না হলেও কোভিড পরিস্থিতিতে চুরির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে।দিন কয়েক আগে রাতের অন্ধকারে কাঠ চুরি করতে গিয়ে টহলরত বনকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছিল এক কাঠ চোর তাকে জেরা করেই বন দপ্তরের এ অভিযান কিনা তা নিশ্চিত হয়নি।এর আগে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে প্রচুরকাঠ উদ্ধার করা হলেও হলদিবাড়ি চা-বাগানে যে একটি বড় কাঠ পাচার চক্র সক্রিয় তা বলাই বাহুল্য।
এদিন গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বন কর্মীরা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে হলদিবাড়ি চা-বাগানের ঐ সমস্ত লাইনে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মোরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার পাল। অভিযানে একটি বাড়ি থেকে প্রচুর চেরাই কাঠ উদ্ধার করা হয়। সুত্রের খবর,ওই বাড়িতে গোপন ভাবে কাঠ চোরাই করে মজুত করা হত এবং রাতের অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে এই অবৈধ কাঠ ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হয়। এদিন উদ্ধার করা সমস্ত কাঠ বাজেয়াপ্ত করে মোরাঘাট রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।তবে এই অভিযানের আগাম খবর পেয়ে কাঠ চোরেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।তাই খবর লেখা পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি বনদপ্তর।
এদিন এবিষয়ে মোরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার পাল জানান,হলদিবাড়ি চা বাগানের তিনটে লাইনে বানারহাট থানার পুলিকে সঙ্গে নিয়ে আজ অভিযান চালিয়ে প্রায় দুশো থেকে আড়াইশো সি এফ টি চোরাই শাল,সেগুন কাঠ ও লক সহ কাঠ চুরির কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাইকের চাকা ও ঠেলার বডি উদ্ধার করা হয়েছে।এছাড়াও একটি বাড়ি থেকে তীর-ধনুক সহ একটি হরিণের সিং পাওয়া গিয়েছে।ঐ বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে বন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এও ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। প্রত্যেকেই খবর পেয়ে বাড়িতে তালা মেরে দিয়ে পালিয়ে যায়।তালা ভেঙে কাঠ প্রচুর কাঠ উদ্ধার করা হয়।পাচার চক্রের সাথে জড়িতদের খোজে তল্লাশি চলছে।