করোনা আবহের মরশুমে হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ নির্মান ভেঙে দিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন

হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে ভেঙে দেওয়া হলো অবৈধ নির্মাণ সহ বেশ কয়েকটি বাড়ি, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।

জলপাইগুড়ি‌র জুবিলি পার্ক সংলগ্ন তিস্তা পাড়ের সমস্ত অবৈধ নির্মান ভেঙে দিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।

বুধবার ভোরবেলা থেকে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়।ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এদিকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিস্তা পারে বসবাস করে আসা মানুষ‌দের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ায় একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েন তারা। গৃহহীন হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে‌ন বাড়ির মহিলারা।

তিস্তা পাড়ে রয়েছে বেআইনি রেস্টুরেন্ট। মুখরোচক খাবার খেতে সন্ধ্যার পর প্রতিদিন সেখানে ব্যাপক হারে জমায়েত থাকে। আর এই জমায়েত থেকেই জলপাইগুড়ি শহরে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। তাই সেই অবৈধ নির্মান ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল কোলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ।

একইসাথে জেলা শাসকের অফিস সংলগ্ন তিস্তা পারের জুবিলি পার্কে বিচারপতির আবাসন রয়েছে।এই আবাসনের সামনে তিস্তা নদীর চরেই অনেক এলাকা জুড়ে এই ধরনের বে আইনি কনস্ট্রাকশন রয়েছে।এই বে আইনি কনস্ট্রাকসন থাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তিস্তা নদী পাড়ে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের জমায়েত হয়।

এই জমায়েতের কারনেই করোনা সংক্রমন বাড়তে পারে বলে সার্কিট বেঞ্চের সিঙ্গল বেঞ্চ নিজেই স্বতপ্রনোদিত মামলা দায়ের করেন। বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ জানান, কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অতিরিক্ত পাবলিক প্রোসিকিউটর অদিতি শংকর চক্রবর্তী।

এই মর্মে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে আলাদাকরে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান। তিনি পাশাপাশি বিচারপতি রাজ্যকেও রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here