আর মাত্র দুদিন বাকি তারপরই ১৫ই অগাস্ট। প্রতিবছর এইদিন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে দেখা যায় খুশির আমেজ এক উজ্জাপনের দিন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সবস্থানেই সঙ্গীত ,নৃত্য পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের পালিত স্বাধীনতা দিবস। তার সাথে জড়িয়ে বহুমানুষের রুটিরোজগার প্রতিবছরই এই সময় পতাকা কেনার চাহিদা থাকে তুঙ্গে যার ফলে সেলাইকর্মীদেরও চাহিদা থাকে অনেক। কিন্তু করোনা আবহে ম্লান স্বাধীনতা দিবস, যার ফলে এ বছর স্তব্ধ সেলাই। এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আনন্দ উৎসবের সরঞ্জাম।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৪ নম্বর ওর্য়াডের আশ্রমপাড়ার পঞ্চানন রোডের বাসিন্দা রাম হরি পাল ৪৫ বছর ধরে জাতীয় পতাকা, বেচ , ঝালোন প্রভৃতি জিনিস নীজ হাতে বানিয়ে বিক্রি করেন । রামবাবুর হাতের তৈরী জিনিস পুরো উত্তরবঙ্গ এবং আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে।কিন্তু এবছর করোনা মহামারীর জন্য সব বন্ধ। রামবাবুর ঘড়ের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন নৃত্য সজ্জার সরঞ্জাম ও পতাকা তৈরীর সরঞ্জাম। রামহরি পাল পাল আমাদের বলেন এ সময় এক মিনিট কথা বলার সময় পেতেন না।আর সব স্কুল কলেজ বন্ধের করণে কোন অর্ডার এখন পর্যন্ত পায়নি। তাও আশার আলোয় এখনো ছাড়েননি তাই মেসিনে কাজ করে চলেছে । রামবাবু আরো বলেন দুরের অর্ডার পায়নি, তবে আগামী বছর সব স্বাভাবিক হবে এই আশা করি এবং বর্তমান করোনা ভাইরাস থেকে আমরা সবাই ঠিক মুক্ত হবো এবং পরবর্তী বছরে একসাথে স্বাধীনতা দিবস পালন করবো।
