পর্যটনের ভরা মৌসুমে পর্যটকদের জন্য নয়া আকর্ষণের অ্যাসোসিয়েশন অফ অবজারভেশন এন্ড ট্যুরিজমের।

কেটে যাওয়া ২০২০ সালের দিকে ফিরে তাঁকালে শুধুই মনে পড়ে যায় বিভীষিকার চিত্র।শুরুর থেকেই করোনা সংক্রমনের জেরে দীর্ঘ কয়েক মাসের লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পাহাড় সহ তরাই ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প।এরপরেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই আনলক পর্বের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক সন্ধ্যে ফিরতে শুরু করেছে পর্যটন শিল্প, কিন্তু এখনো কিছুটা পিছিয়ে পর্যটনশিল্প। শীতের মরশুম হল পর্যটনের এবং পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত মরশুম। প্রতিবছরই এই সময় লক্ষ্য করা যায় পর্যটন স্থান গুলিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।

তবে করোনা আবহের পর পর্যটন ব্যবস্থাপনা’ কিছুটা আলাদা হওয়াতে এবছর পর্যটকদের আকর্ষণের উদ্দেশ্যে জানুয়ারি মাস জুড়ে দুটি রুরাল ট্যুরিজম কার্নিভালের আয়োজন করছেন অ্যাসোসিয়েশন অফ অবজারভেশন এন্ড ট্যুরিজম। যার একটি কার্নিভাল হবে ডুয়ার্সে আরেকটি পাহাড়ের  বিভিন্ন জায়গায়।ইন্দো ভুটান সীমান্ত থেকে নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত তুলে ধরা হবে  বিভিন্ন জনজাতির কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিকে।এর পাশাপাশি কালিম্পংয়ের সিল্ক রোড, রাজাভাতখাওয়া সহ একাধিক জায়গায় বসবে গ্রামীণ হাট যেখানে যেখানে গ্রামবাসীদের নিজের হাতে গড়া সামগ্রী কিনতে পারবেন পর্যটকরা।

এবিষয়ে সংস্থার আহ্বায়ক রাজ বসু এদিন সংবাদিক বৈঠক করে জানান, ১২ই জানুয়ারি রাজাভাতখাওয়া থেকে শুরু হবে কার্নিভাল আর এই কার্নিভালে কোচবিহার মালবাজার কালচিনি মাদারিহাট এর মত সৌন্দর্যকে গ্রামীণ পর্যটনকে তুলে ধরা হবে অন্যদিকে ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ শে জানুয়ারি পর্যন্ত রাজাভাতখাওয়া থেকে শুরু করে বঙকুলুঙ, কালিম্পং, বারোমাইল, লাভা, লোলেগাঁও দার্জিলিংয়ের তাগদা, মংপু , রিম্বিক ,বিজন বাড়ি সহ একাধিক গ্রামের পর্যটনকে  বিভিন্ন গ্রামের পর্যটন কার্নিভালের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি। পর্যটনের ভরা মরশুমে অ্যাসোসিয়েশন অফ অবজারভেশন এন্ড ট্যুরিজম এর পর্যটকদের জন্যে এই নয়া চমকে খুশী পর্যটকরাও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here