ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস সরজমিনে খতিয়ে দেখতে কোচবিহারে এসে পৌঁছালেন রাজ্যপাল জগদীশ ধনকরের। এদিন সকাল সাড়ে ১২ টা নাগাদ কোচবিহার বিমান বন্দরে বিএসএফের হেলিকপ্টারে এসে পৌঁছান তিনি। তার সাথে ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, শীতলখুচির বিধায়ক বরেন চন্দ্র বর্মণ ও মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মণ।
এদিন তিনি কোচবিহার বিমান বন্দর থেকে সড়ক পথে মাথাভাঙা হয়ে শীতলখুঁচি ও দিনহাটায় যাবেন। মাথাভাঙায় ছাট খাটের বাড়ি এলাকা, শীতলকুচির সর্বেশ্বর জয়দুয়ার, ছোট শালবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের নওদাবস, দিনহাটার পেটলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন রাজ্যপাল। সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত গৃহিণী।বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে থাকা পরিবার গুলোর সাথে কথা বলেন তিনি।
এদিন শীতলকুচি যাওয়ার পথে গোলকগঞ্জের কাছে কালো পতাকা দেখানো হয় রাজ্যপালকে। রাজ্যপালের কনভয় যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কালো পতাকা দেখান। এখানেই শেষ নয়, চতুর্থ দফার ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত চার জনের সেই জোড়পাটকি গ্রামে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে।
প্রসঙ্গত, এদিন বিএসএফের হেলিকপ্টারে করে নিশীথকে নিয়েই কোচবিহারে পৌঁছান রাজ্যপাল। তার পর নিশীথের সঙ্গে শীতলকুচিতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান ধনকড়। শাসকদল এই সফরকে ঘিরে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, একজন রাজ্যপাল যিনি সাংবিধানিক প্রধান, তিনি বিজেপির সাংসদের সঙ্গে সফর করছেন কেন?
কোচবিহারে নেমেই এদিন রাজ্যপাল তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, প্রশাসনিক নির্দেশে রাজ্যপাল সরকারের মুঠোয় চলে আসবে। সাংবিধানিক পদকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? এভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ রাজ্য ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘বাংলা ছাড়াও ৪ রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে, কোথাও রক্তপাত হয়নি। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই হিংসা হয়েছে রাজ্যে।’
সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসে এদিন কোচবিহার সার্কিট হাউজে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাজ্যপাল। এখানেই রাত্রিবাসের পর আগামীকাল তিনি কোলকাতায় ফিরে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।