সাংসারিক প্রতিবন্ধকতা কাটাতে সকলের কাছে সাহায্যের আর্জি জানালো প্রতিবন্ধী হীরক রায়ের মা

প্রতিবন্ধী হয়ে নিজেকে শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় হীরক। মূলত, জন্ম থেকেই শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হীরক রায়। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হীরক।তাদের স্বপ্ন সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করার।কিন্তু এতদিন যে সংসার চালাতেন সে এখন বাড়িতে শয্যাশায়ী।পরিবারের সংসার চালানোর মতো কেউ নেই।আর্থিক সংকটে পড়েছে হীরকের পরিবার।একদিকে করোনা অন্যদিকে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছেন ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশিনাথ রায়।

জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন প্রাণী বন্ধু ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন হীরকের বাবা বিশিনাথ রায়।দু’বছর আগে হঠাৎ করে ব্রেন স্ট্রোকে করে সে।এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির একটি ঘরে শয্যাশায়ী হয়ে আছে।পরিবারের একমাত্র তিনিই ছিলেন উপার্জনের কারিগর।তবে এই পরিস্থিতিতে চরম দুর্দশায় দিন কাটাতে হচ্ছে হীরকের পরিবারকে।হীরককে উচ্চশিক্ষিত করাই বাবা-মায়ের স্বপ্ন।

প্রসঙ্গত, ধুপগুড়ি ব্লকের পূর্ব মল্লিকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র হীরক।প্রতিবন্ধী ছেলেকে হাত ধরে স্কুলে নিয়ে গিয়ে ক্লাস করিয়ে আবার বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসতো তার বাবা।কিন্তু বাবা এখন নিজেই পুরোপুরি শয্যাশায়ী।প্রতিবন্ধী ভাতাও মেলেনি বলে অভিযোগ।একাধিক বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও এখনো পর্যন্ত মেলেনি কোনো সুরাহা। এই মুহূর্তে অসহায় মা মিনতি রায় কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।তার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে লকডাউন যেন কাল সাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের সামনে।এই পরিস্থিতিতে মায়ের মুখে একটাই কথা, কাতর আবেদন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছেলের ভাতা চালু করা হোক।প্রশাসন নজর দিক তাঁদের প্রতি।কোন সহৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে আসুক তাদের সাহায্যার্থে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here