একদিন বাদে ফের ব্ল্যাক ফাংগাসের জোড়া ছোবল।এবারও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমিউকোসিসে মৃত্যু হলো দুজনের।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু হয়।ওই দুজন মিলিয়ে শুধু মাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই ব্ল্যাক ফাংগাসে গত এক মাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ জন।হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন শিলিগুড়ি সংলগ্ন চম্পাসারির সমরনগরের বাসিন্দা মোহনলাল দেব (৪৮) ও জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের বাসিন্দা আশিষ কুন্ডু (৭১)।দুজনেই সম্প্রতি করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।কিন্তু দুজনেই ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত হন।গত মাসে করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে ওঠেন মোহনলাল দেব।কিন্তু আচমকা তার শারিরীক পরিস্থিতির অবনতি হয়।৫ জুন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিস থাকা সহ করোনার ফলে ফুসফুস সংক্রমিত হয়েছিল।মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্ট থাকায় অক্সিজেনের প্রয়োজন পরত।ফলে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।কিন্তু তারপরও শারিরীক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।সন্দেহ হলে চিকিৎসকরা তার লালারস ও টিস্যু পরীক্ষার জন্য ভাইরাল রিসার্চ এন্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠায়।পরে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।কিন্তু এদিন রাতে তিনি মারা যান।
এদিকে,আশিষ কুন্ডুকে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা।তার তীব্র শ্বাসকষ্ট থাকায় ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল।এরপর মঙ্গলবার তার লালারস ও টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাল রিসার্চ এন্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হলে তার রিপোর্টে ধরা পরে যে তিনি ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্ত।কিন্তু তার শারিরীক পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ ছিল যে অস্ত্রপ্রচার করা চিকিৎসকদের জন্য সম্ভব হয়নি।এদিন রাতে তিনিও মারা যান।ফের মেডিক্যালে ব্ল্যাক ফাংগাসে জোড়া মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্কিত শহরবাসী।