রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেড়ে হলো চার। যার মধ্যে উত্তরের দুই ও দক্ষিণের দুই। দক্ষিনবঙ্গ থেকে দুই জন শান্তুনু ঠাকুর ও সুভাষ সরকার। উত্তরবঙ্গের জন বারলা ও নিশীথ প্রামানিক। যদিও নরেন্দ্র মোদী তাদের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেননি। অন্যদিকে ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিক থেকে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন জন বারলা। খুশির হাওয়া বইছে ডুয়ার্সের চা-বলয় এলাকায়। লক্ষীপাড়া চা-বাগানের জন বারলার বাড়ির সামনে মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছে। গতকাল রাত থেকেই রীতিমতো উৎসব শুরু হয়েছে। ডুয়ার্সের চা বলয় থেকে এই প্রথম কেউ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন। উন্নয়নের আশায় বুক বাঁধছেন ডুয়ার্সের চা-শ্রমিকরা। একসময় লক্ষীপাড়া চা-বাগানে টিনের দোচালা বাড়ি থেকে বাস কন্ডাক্টর কাজ করতেন জন বারলা।
অন্যদিকে, পুনরায় উত্তরবঙ্গ কে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে সম্প্রীতি রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এদিন বারলার লক্ষীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে শুধুই ছিল উৎসবের পরিবেশ। বাজি-পটকা ফাটানো থেকে মিষ্টিমুখ করিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিলেন তার অনুগামীরা। তার বাড়িতেই টিভির পর্দায় শপথগ্রহণ দেখছিলেন স্থানীয় চা-শ্রমিকরা। জন বারলার পুত্র জর্ডন বারলা বলেন, বাবা সকলের কথা ভেবে কাজ করে। আজ তারই একটা বড়ো সাফল্য। এটা সকলের কাছে গৌরবের। বাবা সবার জন্য কাজ করতে জানে। শুধু বাগানের নয় গোটা ডুয়ার্সের কাছের মানুষ হিসাবেই পরিচিত বাবা।
আবার অনেকেই মনে করছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদকে মন্ত্রী করার ক্ষেত্রে আদিবাসীদের মন জয় করারও একটা বড়ো তাস হতে পারে। এদিন বানারহাট, বিন্নাগুড়ি ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কার্যালয় গুলিতে মিষ্টি মুখ এবং আবির খেলায় মেতে ছিল কর্মী, সমর্থকেরা। সবমিলিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে বিতর্কিত বারলাকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একমত নয় বলে মন্তব্য করলেও কেন্দ্র কিন্তু তাকে পুরস্কৃতই করলেন। একসময়কার চা শ্রমিক পরিবারের ছেলে বাস কন্ডাক্টর এখন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী জন বারলা।