স্বস্তির বৃষ্টি নামতেই খুলে যাচ্ছে স্কুল কলেজ। রাজ্যের অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি বিচার করে ১ সপ্তাহের জন্য নেওয়া হয়েছিল সিদ্ধান্ত।
খাতায়-কলমে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জানানো হয়েছিল শিক্ষা দফতরের তরফে।
গত সোমবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এই কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র রাজ্যের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন যাতে রাজ্যের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে গরমের মধ্যে এই এক সপ্তাহ বন্ধ রাখে স্কুল।
প্রসঙ্গত, নতুন করে আর তাপপ্রবাহের সর্তকতা নেই রাজ্যে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে নতুন করে উত্তর এবং দক্ষিণের কোন জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই। বরং, ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে ২৫ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই।
রবিবার সকাল থেকেই গোটা দক্ষিণবঙ্গেরই আকাশ কার্যত মেঘলা। হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতা সহ সংলগ্ন শহরতলি এলাকাতেও। ২৫ তারিখের পর থেকে নতুন করে বৃষ্টিপাত না হলেও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যে প্রাণান্তকর গরম শেষ কয়েকদিনে দেখেছে রাজ্যবাসী, তেমন গরমের নতুন করে সম্ভাবনা নেই এখনই। তাই এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে আর বাড়ানো হচ্ছে না গরমের ছুটি। শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকার পূর্ববর্তী নির্দেশিকার মেয়াদও ইতিমধ্যেই উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই সোমবার থেকেই স্কুল-কলেজে ফিরতে হবে পড়ুয়াদের।
তাপপ্রবাহের মধ্যে এই এক সপ্তাহের ছুটিতে অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও ফের অফলাইন পঠন পাঠনে ফিরতে পারবেন পড়ুয়ারা। যদিও এর আগে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শিক্ষা দফতরের তরফে, ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনও খবর এখনও পর্যন্ত না থাকায় ২ মে থেকেই গরমের ছুটি পড়তে চলেছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।